পরিবার সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ ইউনিভার্সিটির জন্য বেরিয়ে গিয়েছিলেন গৌরব। দুপুর ৩টে নাগাদ তিনি সেচ আবাসনে ফিরে এলেও নিজেদের ফ্ল্যাটে ঢোকেননি। তার ঘণ্টা দেড়েক পর গৌরবদের ফ্ল্যাটের কাছের এক বিল্ডিংয়ের নীচ থেকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে। রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ জেনেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গত কয়েক দিন ধরেই গৌরবের গোলমাল চলছিল কয়েক জনের সঙ্গে। শুক্রবারও সেই একই সমস্যা হয়। তবে ওই দিন দু’পক্ষের গন্ডগোল হয় ক্যাম্পাসের গেটের বাইরে। কী নিয়ে গোলমাল? হাসপাতালে বসে ওই পড়ুয়ার মা জানিয়েছেন সিনিয়র-জুনিয়র গন্ডগোলের কথা। মৃত ছাত্রের বাবার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, শুক্রবার দুপুরে তাঁর মোবাইলে ফোন আসে অচেনা নম্বর থেকে।
ও পারের ব্যক্তি বলেন, ‘আপনার ছেলের ব্যাগ আর মোবাইল আমার কাছে আছে।’ তার পরেই ছেলের খোঁজ শুরু করেন গৌরবের বাবা। কেন ওই পড়ুয়া মোবাইল, ব্যাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেলে এলেন, সেটা তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে। এর মধ্যে কি র্যাগিংয়ের কোনও যোগ রয়েছে? সবটা জানতে গৌরবের মোবাইল ফোনের কললিস্ট পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি, তথ্য জানার চেষ্টা চলছে তাঁর বন্ধুদের কাছ থেকেও।
মৃত ছাত্রের পরিবারের ঘনিষ্ঠদের একাংশ জানিয়েছেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট দেখেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অমৃতা সাহা বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তবে ক্যাম্পাসের মধ্যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগও আসেনি। রাগিং ঠেকাতে আমাদের নজরদারি রয়েছে। সেখানেও কোনও অভিযোগ কেউ করেনি।’