Bidhannagar Police,মরণঝাঁপের ঠিক আগে ব্যাগ কেন ফেলে এলেন ল’ছাত্র? – salt lake 20 year old youth gaurav dutta committed self destruction declared bidhannagar police


এই সময়: সল্টলেকের সেচ আবাসনের ২০ বছরের তরুণ গৌরব দত্ত আত্মহত্যা করেছেন বলেই প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে। তবে কী কারণে আবাসনের ছাদ থেকে নিউ টাউনের অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের দ্বিতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়া ঝাঁপ দিলেন, ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও তা নিয়ে ধন্দে বিধাননগর কমিশনারেটের তদন্তকারীরা। মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। বিধাননগর কমিশনারেটের এক কর্তা বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে যা তথ্য হাতে এসেছে, তাতে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে হচ্ছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে সবটা স্পষ্ট হবে।’

পরিবার সূত্রের খবর, শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ ইউনিভার্সিটির জন্য বেরিয়ে গিয়েছিলেন গৌরব। দুপুর ৩টে নাগাদ তিনি সেচ আবাসনে ফিরে এলেও নিজেদের ফ্ল্যাটে ঢোকেননি। তার ঘণ্টা দেড়েক পর গৌরবদের ফ্ল্যাটের কাছের এক বিল্ডিংয়ের নীচ থেকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিক অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে। রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ জেনেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গত কয়েক দিন ধরেই গৌরবের গোলমাল চলছিল কয়েক জনের সঙ্গে। শুক্রবারও সেই একই সমস্যা হয়। তবে ওই দিন দু’পক্ষের গন্ডগোল হয় ক্যাম্পাসের গেটের বাইরে। কী নিয়ে গোলমাল? হাসপাতালে বসে ওই পড়ুয়ার মা জানিয়েছেন সিনিয়র-জুনিয়র গন্ডগোলের কথা। মৃত ছাত্রের বাবার সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, শুক্রবার দুপুরে তাঁর মোবাইলে ফোন আসে অচেনা নম্বর থেকে।
চিকিৎসক ছেলের রহস্যমৃত্যুর যথাযথ তদন্ত চান বাবা
ও পারের ব্যক্তি বলেন, ‘আপনার ছেলের ব্যাগ আর মোবাইল আমার কাছে আছে।’ তার পরেই ছেলের খোঁজ শুরু করেন গৌরবের বাবা। কেন ওই পড়ুয়া মোবাইল, ব্যাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেলে এলেন, সেটা তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে। এর মধ্যে কি র‍্যাগিংয়ের কোনও যোগ রয়েছে? সবটা জানতে গৌরবের মোবাইল ফোনের কললিস্ট পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পাশাপাশি, তথ্য জানার চেষ্টা চলছে তাঁর বন্ধুদের কাছ থেকেও।

মৃত ছাত্রের পরিবারের ঘনিষ্ঠদের একাংশ জানিয়েছেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট দেখেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অমৃতা সাহা বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তবে ক্যাম্পাসের মধ্যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনও অভিযোগও আসেনি। রাগিং ঠেকাতে আমাদের নজরদারি রয়েছে। সেখানেও কোনও অভিযোগ কেউ করেনি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *