Kolkata Municipal Corporation: বেআইনি নির্মাণ বন্ধে হাই-পাওয়ার কমিটি – kolkata municipal corporation set up a high power committee to prevent illegal constructions


এই সময়: বেআইনি নির্মাণ আটকাতে পুরসভার তরফে করা হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। চালু হয়েছে নতুন আইন। বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। তবু বেআইনি নির্মাণ ঠেকানো যাচ্ছে না। বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়াই কলকাতার আনাচেকানাচে তৈরি হচ্ছে বেআইনি ফ্ল্যাট। সেই সব বেআইনি ফ্ল্যাট বিক্রিও হয়ে যাচ্ছে।বিল্ডিং প্ল্যান, সিসি ছাড়াই সেই সব ফ্ল্যাটের দলিলও তৈরি হয়ে যাচ্ছে। রেজিস্ট্রেশনের দলিল দেখিয়ে অনেকে ফ্ল্যাটের মিউটেশনও করিয়ে নিচ্ছেন। এ ভাবেই ঘুরপথে সরকারি স্বীকৃতি পেয়ে যাচ্ছে বেআইনি নির্মাণ। তারই সুযোগ নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি নির্মাণ উত্তরোত্তর বাড়ছে বলে মনে করছেন পুরকর্তারা।

বেআইনি বাড়ি থেকে ট্যাক্স!
১৯৮০ সালের কলকাতা মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট অনুযায়ী, বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়া কলকাতা পুর-এলাকায় বাড়ি বানালে সেটাকে বেআইনি নির্মাণ হিসাবেই গণ্য করার কথা। অথচ, সেই বেআইনি বাড়ি থেকেই বছরের পর বছর ট্যাক্স আদায় করছে পুরসভা! কলকাতা পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা শহরে যত করদাতা রয়েছেন তার এক তৃতীয়াংশের বেশি বেআইনি ভাবে বাড়ি বানিয়েছেন। তাঁদের কাছে কোনও বিল্ডিং প্ল্যানও নেই।

বিশেষ করে কলকাতার অ্যাডেড এরিয়ায় যত বাড়ি রয়েছে তার সিংহভাগই বেআইনি ভাবে তৈরি। তা সত্ত্বেও রোজগার বাড়াতে সেই সব সম্পত্তি থেকে নিয়মিত কর আদায় করে পুরসভা। প্রশ্ন উঠছে, বেআইনি বাড়ির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নিয়ে পুরসভা কোন যুক্তিতে ট্যাক্স আদায় করছে? পুরসভার অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের এক আধিকারিকের যুক্তি, বেআইনি বাড়ি হলেও সেখানকার বাসিন্দারা পুরসভার জল, রাস্তা, আলো ভোগ করছেন। বাড়ির জঞ্জালও সাফাই করতে হচ্ছে পুরসভাকে। তাই ট্যাক্স না নেওয়াটা বোকামি।

ঠেকে শেখা
গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনার তদন্তে নেমে পুর-আধিকারিকদের নজরে আসে, বেআইনি নির্মাণের পরেও একের পর এক বাড়ির মিউটেশন হয়ে যাচ্ছে! এর পরেই মেয়র ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দেন, বেআইনি নির্মাণ হলে কোনও ভাবেই মিউটেশন করা যাবে না। ঠিক হয়, বেআইনি বাড়ি হলে মালিকের কাছ থেকে ‘পার্সন লায়াবেল টু পে ট্যাক্স’ আদায় করা হবে। একই ভাবে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকেও ট্যাক্স আদায় করে পুরসভা।

Kolkata Municipal Corporation: বউবাজারের ভেঙে পড়া ২৩টি বাড়ি পুনর্নির্মাণে সায় পুরসভার
পুর-আর্জি নাকচ
বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়া যাতে কেউ ফ্ল্যাটের রেজিস্ট্রেশন করাতে না পারে তার জন্যে সম্প্রতি ইনস্পেকটর জেনারেল অফ রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড কমিশনার অফ স্ট্যাম্প রেভিনিউকে চিঠি দিয়ে আবেদন করেছিলেন কলকাতা পুরকর্তৃপক্ষ। অর্থ দপ্তরের অধীন ইনস্পেকটর জেনারেল অফ রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড কমিশনার অফ স্ট্যাম্প রেভিনিউ বিভাগই মূলত জমি-বাড়ির রেজিস্ট্রেশন করে থাকে। কিন্তু তারা পাল্টা চিঠি দিয়ে কলকাতা পুরসভাকে জানিয়েছে, তাদের পক্ষে বিল্ডিং প্ল্যান দেখে ফ্ল্যাট কিংবা দোকানের রেজিস্ট্রেশন করা সম্ভব নয়।

উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি
বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, কলকাতা পুর-এলাকায় এই মুহূর্তে কয়েক লক্ষ বেআইনি বাড়ি রয়েছে যেগুলির কোনও বিল্ডিং প্ল্যান অথবা সিসি নেই। অথচ বড় অংশেরই রেজিস্ট্রেশন ডিড বা দলিল রয়েছে। অনেকেই বহু বছর ধরে পুরসভাকে সম্পত্তিকর দিয়ে আসছেন। তাঁদের পুরসভা কী চোখে দেখবে, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কয়েক দিন আগে একটি হাই-পাওয়ার কমিটি গঠন করেছেন পুর-কমিশনার।

তাতে রয়েছেন অতিরিক্ত মিউনিসিপ্যাল কমিশনার, সিএমএলও, ডিজি বিল্ডিং, অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের সব চিফ ম্যানেজার এবং আইটি বিভাগের কন্ট্রোলিং অফিসার। এই কমিটি কী নিদান দেয়, অপেক্ষায় শহর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *