Malda: মানিকচকে ৩ পঞ্চায়েত জলের তলায়, বাড়ছে গঙ্গার জল, এলাকা ছাড়ার নির্দেশ প্রশাসনের


রণজয় সিংহ: মালদহের মানিকচকে ভাঙন ও বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। ভুতনী চরের ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় দেড় লক্ষের বেশী বাসিন্দা দেড় মাস ধরে গঙ্গার জলে প্লাবিত হয়ে রয়েছেন। প্লাবিত জলে তলিয়ে গেছে সরকারিভাবে ৯ জন। এমন পরিস্থিতিতে পরও গঙ্গা নদীর আরো জলবৃদ্ধি ঘটবে এমন সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেচ দপ্তরের তরফ থেকে। সকাল থেকে প্রশাসনর পক্ষ থেকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-ভয়ংকর! সিজার করতে গিয়ে এ কী করে ফেললেন চিকিত্‍সক…

শুধু তাই নয় এলাকাবাসীকে সর্তক করার জন্য মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র সামাজিক মাধ্যমে সর্তক থাকার বার্তা দিলেন। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে চলেছে। তাও জানালেন। প্রশাসন সজাগ রয়েছে। তবুও গঙ্গা অববাহিকা দিয়ে ২৬ লক্ষ কিউসেক জল প্রবাহিত হবে। বিহারে বৃষ্টিপাতের ফলে গঙ্গার অববাহিকা দিয়ে এই জল প্রবাহিত হবে। ফলে গঙ্গা নদীর জল ১ মিটারের বেশী বৃদ্ধি পাবে। তাই এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এলাকাবাসীকে তৈরি থাকার আবেদন জানিয়েছে প্রশাসন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর রাতে পরিস্থিতির কথা জেনে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এলাকার বাসিন্দা শিবু মন্ডল জানান পরিস্থিতি ভালো নেই। এলাকার একতলা বাড়ি জলের তলায়। দুইদিন আগে পাট ছাড়াতে গিয়ে আমার ভাই জলে তলিয়ে গিয়েছে। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে জলবৃদ্ধির জন্য সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। শুখা মরসুমে কাজ করলে পরিস্থিতি এমন হত না। কেন্দ্র ও রাজ্য যৌথভাবে নদীপাড় না বাঁধলে সমস্যা সমাধান হবে না। সব টাকাই জলে যাবে। পাশাপাশি এলাকা ছেড়ে বাসিন্দা অন্যত্র সরে যাচ্ছে। এলাকার বাসিন্দা মনোজ মহালদার জানান প্রশাসন কোন গাড়ির ব্যবস্থা করেনি। নিজেরাই এলাকা ছাড়ছি। আরো এক গ্রামবাসী আজাদ আলি বলেন জল বাড়ছে। পরিস্থিতি ভাল নেই। তাই এলাকা ছাড়ছি। এলাকার বাসিন্দা মনোজ মন্ডল,নকুল মন্ডলদের অভিযোগ কোন ত্রাণ পাচ্ছেন না। জলে বাস করতে হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন ৫৬ বছর পর নেপাল বিহার সীমান্তের কোশী ব্যারেজের সব গেট খুলে দিয়েছে। বিজেপির একটা চক্রান্ত। একদিকে দক্ষিণবঙ্গের ডিভিসি অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন ব্যারেজের গেট খুলে বাংলাকে ভাসিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করেছে। রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচুর ত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন। প্রত্যেকটা বাড়িতে ত্রাণ দিয়েছেন। কোন মানুষকে বঞ্চিত করা হয়নি।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *