RG Kar Hospital,ডিজিটাল ডেটাও কি বিকৃত করা হয়েছিল? CBI-এর নজরে নির্যাতিতার মোবাইল – cbi concerned about lost digital data from rg kar hospital deceased doctor mobile phone


এই সময়: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের মামলায় আদালতে তথ্যপ্রমাণ নষ্টের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছে সিবিআই। সেই তালিকায় কি তরুণী চিকিৎসকের মোবাইল ফোনও রয়েছে- এ প্রশ্ন আগেই তুলেছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের একাংশ। নিহত চিকিৎসকের মোবাইল থেকে ডিজিটাল নথি লোপাটের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরাও, এমনটাই সিবিআই সূত্রে খবর।গত ৯ অগস্ট ধর্ষণ-খুনের আগের কয়েকদিন তাঁর সঙ্গে কে কে যোগাযোগ করেছিলেন, কেউ তাঁকে ফোন করে বা হোয়াটসঅ্যাপে হুমকি দিয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। সেই সঙ্গে মোবাইলে থাকা কোনও ছবি ও ভিডিয়ো ডিলিট করা হয়েছিল কি না, সে দিকেও নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের।

ধর্ষণ-খুনের মামলায় তরুণীর দেহ উদ্ধারের পর প্রায় ১৪ ঘণ্টা দেরিতে কেন এফআইআর রুজু করা হয়েছিল, সে প্রশ্ন আগেই তুলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ধৃত সঞ্জয় রায়ের পরনের পোশাক, জুতো বাজেয়াপ্ত করতেও পুলিশ ৪৮ ঘণ্টা দেরি করে বলে দাবি সিবিআইয়ের। এখন তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখতে চাইছেন, নিহত তরুণীর মোবাইল ফোনের ডিজিটাল নথি কেউ ডিলিট অথবা বিকৃত করেছিল কি না। মোবাইল উদ্ধারের পর, তা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল।

সূত্রের খবর, এ বিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে দ্বিতীয়বার ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।সিবিআই সূত্রের খবর, গত কয়েক দিনের তদন্তে জানা গিয়েছে, গত ৯ অগস্ট এনআরএস হাসপাতাল থেকে সন্দীপের ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি আরজি কর হাসপাতালে এসেছিলেন। দীর্ঘক্ষণ প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ঘরেও ছিলেন। ওই ব্যক্তিকে ‘সিন অফ ক্রাইম’-এ দেখা গিয়েছিল। ওই দিন কেন ঘন ঘন অকুস্থল থেকে সন্দীপের ঘরে যাতায়াত করছিলেন তিনি, প্রমাণ লোপাটের নেপথ্যে তাঁরও কোনও যোগ ছিল কি না, সে বিষয়ে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

সিসিটিভিতে রহস্য, ডেটা নষ্টে নজরে এ বার অভিজিৎ-সন্দীপ

সম্প্রতি, নিম্ন আদালতে রিপোর্ট পেশ করে টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং সন্দীপ ঘোষের জামিনের বিরোধিতা করেছে সিবিআই, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিচারক। জামিন খারিজ করে লিখিত অর্ডারে তিনি লিখেছেন, যে অভিযোগগুলি উঠছে, তা প্রমাণিত হলে তাঁদের মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে!

সুপ্রিম কোর্টও আগের শুনানিতে সিবিআইয়ের স্টেটাস রিপোর্ট দেখে জানিয়েছে, ওই রিপোর্ট অত্যন্ত উদ্বেগজনক, ডিস্টার্বিং। ৩০ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে শীর্ষ আদালতে নতুন কী তথ্য দেয় সিবিআই, সেটাই এখন দেখার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *