পাঁচ মাস পরে সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয়েছেন ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। গত শুক্রবার ভাঙড়ের ভোজেরহাট এলাকায় তাঁর ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত লালুবাবু মোল্লার অফিসে ভাঙচুর করা হয়। এরপরেই আরাবুলের অভিযোগ ছিল, শওকত মোল্লার নির্দেশেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তাঁর এই মন্তব্যের পর ভাঙড় রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে যায়।
সায়নী বলেন, ‘কথায় রয়েছে ঘর শত্রু বিভীষণ। ছাঁকনি বাইরের থেকে করার আগে ভেতর থেকে করা প্রয়োজন।’ তবে পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আরাবুল প্রকাশ্যে শওকতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন শুনে এই সাংসদের মন্তব্য, ‘আরাবুল দল বিরোধী কাজ করছেন। শওকত মোল্লা ভাঙড়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে দল থেকে পরিবারে পরিণত করেছেন। তিনি ভাঙড়ের অভিভাবক। তাঁর এই গ্রহণযোগ্যতা মানতে যদি কারও কষ্ট হয় এটা তাঁর সমস্যা।’
শওকত মোল্লা এ দিন বলেন, ‘গদ্দার চিহ্নিত করার কথা দল রাজ্যজুড়ে বলছে। যাঁরা দলের নাম বিক্রি করছে তাঁরা গদ্দারই।’ যদিও সায়নীর মন্তব্য নিয়ে আরাবুলের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, ‘সাংসদ ভাঙড়ের পরিস্থিতি জানলে বুঝতে পারতেন।’ যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র ঋজু দত্ত জানিয়েছেন, সায়নী হয়তো ‘গদ্দার নির্বাচন’-এর বিষয়টি তাঁর সংসদীয় এলাকার কথা বলেছেন। কারণ নির্বাচনে সেখানে কী পরিস্থিতি ছিল তা তিনি ভালো বুঝতে বা বলতে পারবেন।