যদিও, সোমবার সকাল থেকেই বন্ধের প্রভাব পড়েছে পাহাড়ে। দার্জিলিং ম্যাল হোক কিংবা কার্শিয়াং স্টেশনের রাস্তা। যেখানে পর্যটকদের ভিড় সবসময় লেগেই থাকে। সেখান সকাল থেকে শুনশান অবস্থা। দোকানপাট, বাজার সবটাই বন্ধ সকাল থেকে। এর আগে গোর্খাল্যাণ্ডের দাবিতে আন্দোলন ও টানা কয়েকমাস পাহাড়ে বন্ধের ছবি নিয়মিত দেখেছিল রাজ্যবাসী। তবে বিগত কয়েক বছরে নতুন করে বন্ধ হয়নি পাহাড়ে। কিন্তু এ বছর চা শ্রমিকদের বোনাসের দাবিতে ডাকা বন্ধ যেন সেই পুরোনো ছবির কথা মনে করিয়ে দিল।
সকাল থেকেই রোহিনী, সুকনা, গাড়িধুরা, কার্শিয়াং, শিমুলবাড়ি-সহ নানা জায়গায় উপস্থিত ছিলেন পাহাড়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী, চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। সমতল থেকে আসা গাড়ি ও পাহাড় থেকে নামা সমস্ত গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর জেরে দার্জিলিং শহরে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকেরা কার্যত হোটেলবন্দী হয়ে থাকতে হয়। যদিও বন্ধ সমর্থনকারীদের দাবি, যে পর্যটকদের বিমান, ট্রেন রয়েছে তাঁরা টিকিট দেখালে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। সকাল থেকেই রোহিনী টোলগেটে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। অনেকে আবার পাহাড়ে উঠতে না পেরে ফিরে এসেছেন শিলিগুড়িতে। সন্ধ্যা ৬টায় বন্ধ উঠে যাওয়ার পর অনেকে যাবেন দার্জিলিং-এ।
বন্ধ নিয়ে সিটু নেতা সমন পাঠক বলেন, ‘পাঁচ বার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু ১৩ শতাংশ-এর বেশি বোনাস দিতে রাজি নয় চা বাগান কর্তৃপক্ষ। সরকারের বিষয়টি দেখা উচিত ছিল। পর্যটকদের অসুবিধা হচ্ছে, কিন্তু তাঁদেরও চা শ্রমিকদের পাশে থাকা উচিত। যাদের বিমান, ট্রেন আছে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। আগামীকাল থেকে চা কারখানাগুলির সামনেও আন্দোলন চলবে।’