Rg Kar Protest,হাথরস-বদলাপুরের ব্যাখ্যা দিয়ে ‘গো ব্যাক’ থামাতে চায় বিজেপি – west bengal bjp trying to increase rg kar protest against


মণিপুস্পক সেনগুপ্ত
হাথরস, বদলাপুরের কাঁটা দূর করতে মরিয়া বঙ্গ-বিজেপি। উদ্দেশ্য, নাগরিক আন্দোলনে সামিল হতে গিয়ে যাতে আর ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান শুনতে না হয়! বিজেপি-শাসিত রাজ্যের ধর্ষণের ঘটনাগুলির সঙ্গে আরজি করকে যে এক পঙক্তিতে ফেলা যায় না, সেটাই আরও জোরালো ভাবে প্রচারের কৌশল নিয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীরা। বিজেপি নেতৃত্বের আশা, আন্দোলনকারীরা খোলা মনে তাঁদের যুক্তিগুলি শুনলে আর ‘গো ব্যাক’ স্লোগান তুলে দূরে ঠেলে দেবেন না।আরজি কর হাসপাতালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিবাদের থেকে নাগরিক প্রতিবাদের ঝাঁজ যে বেশি, তাতে সন্দেহ নেই। শুরুর দিন থেকেই বিজেপি তাই চাইছে এই আন্দোলনে দলীয় পতাকা ছাড়া অংশ নিতে। কিন্তু বারবারই তাদের শুনতে হয়েছে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান। গত দু’তিন বছরে বিজেপি-শাসিত উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অসমের মতো রাজ্যগুলিতে একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। যার প্রেক্ষিতে আন্দোলনকারীদের মুখে আরজি করের পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের হাথরস, বদলাপুরের বিচারের কথাও শোনা যাচ্ছে। মূলত সে কারণেই আন্দোলনকারীরা তাঁদের দেখলে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান শোনান বলে বিজেপি-র ধারণা।

বারবার ‘গো ব্যাক’-এ বিরক্ত হয়ে নাগরিক আন্দোলকে খোঁচা দিতেও ছাড়েনি বিজেপির একাংশ। দিলীপ ঘোষ, অশোক দিন্দার মতো বিজেপি নেতারা নাগরিক আন্দোলনকে আকার-ইঙ্গিতে নকশালদের আন্দোলন বলেও বিঁধেছেন। তাতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। আরজি কর আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি দেখে বিজেপি নেতারা বিলক্ষণ বুঝে গিয়েছেন যে, এই প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে দূরে থাকলে রাজ্য রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ার আশঙ্কাও দেখা দিতে পারে। এই অবস্থায় বিজেপি-শাসিত রাজ্যের ধর্ষণের ঘটনাগুলির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের ভূমিকা এবং আরজি করের ঘটনার পর তৃণমূল সরকারের ভূমিকার তুলনা টেনে সুকান্ত-শুভেন্দুরা প্রমাণ করতে চাইছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ।

RG Kar Protest: ‘নাটক’ নয়! আন্দোলন নিয়ে উল্টো সুর শুভেন্দু-সুকান্তর

বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে ধর্ষকদের কী পরিণতি হয়, তা ব্যাখ্যা করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘মহারাষ্ট্রের বদলাপুরে একেবারে রামনাম সত্য হ্যায় করে দিয়েছে ধর্ষকদের। অসমে জল খেতে খেতে রামনাম করে দিয়েছে। আর এখানে ধর্ষকদের প্রোটেকশন দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আরজি কর মামলায় পুলিশ, ডাক্তার, ধর্ষক সবাই একসঙ্গে জেলে। এটা লজ্জার।’

রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ‘দেশের যেখানেই ধর্ষণ হোক না কেন, আমরা সব ঘটনারই নিন্দা করব। কিন্তু আরজি করের ঘটনা বিরল। এ রকম কখনও দেখিনি। সরকারি হাসপাতালের ভিতরে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হলো। তার পরে পুলিশই প্রমাণ লোপাট করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ল!’ তাঁর সংযোজন, ‘সাধারণ মানুষ এই বদলাপুর, অসমের সঙ্গে আরজি করের পার্থক্য করতে পারছেন। বামপন্থীরা আরজি করের সঙ্গে হাথরস, বদলাপুরের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। আমরা বামেদের এই চক্রান্ত সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *