Uttar 24 Prgs Shocker: সরকারি শৌচালয়ের ট্যাঙ্কের ঢাকনায় পা দিতেই ভয়ংকর ঘটনা, নীচে পড়ে মৃত্যু স্কুল পড়ুয়ার


মনোজ মণ্ডল: সরকারি প্রকল্পের তৈরি শৌচালয়ের ঢাকনা ভেঙে মর্মান্তিক মৃত্যু বছর ১৩ স্কুল পড়ুয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগান গ্রামের পিপলি পাড়ায়। মৃত শিশুর নাম সন্দীপ মজুমদার (১৩)। এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে শৌচালয় এবং তার কুঁয়ার ঢাকনা তৈরি হাওয়ায় এই দুর্ঘটনা।

আরও পড়ুন-কাজের চাপে হার্ট অ্যাটাক? হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে অফিসের বাথরুমেই IT কর্মী…

পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যের পর থেকে সন্দীপকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। | রাত নটা নাগাদ বাড়ির পেছনে শৌচালয়ের পাশে এসে ট্যাঙ্কের ভাঙা ঢাকনা দেখে ভেতরে খোঁজাখুঁজি করতে সন্দীপকে দেখতে পাওয়া যায়। |স্থানীয়রা রাতে তাকে উদ্ধার করে বনগ্রাম মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে | খবর পেয়ে এদিন সকালে মৃত শিশুর বাড়ি আসে পঞ্চায়েত এর প্রতিনিধিরা। তারা পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেয়। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বছর ২-৩ বছর আগে শৌচালয় তৈরি হয়েছে। ব্লক অফিসের মাধ্যমে কাজ হয়েছে। এমন ঘটনা যাতে না ঘটে সে দিকে আমদের নজর থাকবে।

বিজেপির অভিযোগ কাটমানি খেয়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে শৌচালয় ও তার কুঁয়ার ঢাকনা তৈরির জন্য এই ঘটনা। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে।

সন্দীপের বাবা বলেন, টিউশন যাবার জন্য ছেলেকে ঘুম থেকে তুললাম। খেয়ে দেয়ে টিউশন পড়তে গেল। ফিরে এসে বাজার গিয়েছিল। তারপর ঘরের একটি বঁড়শি বাড়ির চালে রাখতে গিয়েছিল। পা দিয়েছিল ট্যাঙ্কের ঢাকনার উপরে। সেই ঢাকনা ভেঙেই নীচে পড়ে যায়। রাত তখন দশটা বাজে তখন ওর মা ঘরের পিছনে গিয়েছিল বাড়ির গোরুটিকে দেখতে। তখনই দেখে ট্যাঙ্কের উপরের স্ল্যাব নেই। ভেতরে টর্চ মেরে দেখে ছেলে ভেতরে পড়ে রয়েছে। স্ল্যাবের ভাঙা একটি টুকরো ছেলের ঘাড়ে পড়েছে। ওকে তুলে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। ওরা বলল ও বেঁচে নেই।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *