এই সময়, দুর্গাপুর: ছিনতাই হলো পুলিশেরই গাড়ি। সোমবার বিকেলে বাঁশকোপা টোলপ্লাজ়ার কাছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ঘটনাটি ঘটে। যদিও ছিনতাইয়ের এক ঘণ্টার মধ্যে কাঁকসা থানার ওই টহলদারি গাড়িটি উদ্ধার হয় আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকায়। গাড়ি থেকে পুলিশের দু’টি সার্ভিস রিভলভারও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, ‘কাঁকসা থানার একটি গাড়ি ছিনতাই হয়েছে। আসানসোল দক্ষিণ থানা গাড়িটি আটক করেছে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ছিনতাইকারী যুবককে চিহ্নিত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। ওই যুবক আগে থানারই গাড়ি চালাতেন। গাড়ি থেকে পুলিশের দু’টি সার্ভিস রিভলভার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।’
প্রশ্ন উঠেছে, থানার গাড়িতে টহল দেওয়ার সময়ে গাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে কীভাবে বেরিয়ে গেলেন পুলিশকর্মীরা? জবাবে ডিসি (পূর্ব) বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। আগ্নেয়াস্ত্রগুলি যে পুলিশকর্মীদের তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
প্রশ্ন উঠেছে, থানার গাড়িতে টহল দেওয়ার সময়ে গাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে কীভাবে বেরিয়ে গেলেন পুলিশকর্মীরা? জবাবে ডিসি (পূর্ব) বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। আগ্নেয়াস্ত্রগুলি যে পুলিশকর্মীদের তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
এ দিন বিকেলে বাঁশকোপা টোলপ্লাজ়ার ধারে দাঁড়িয়েছিল কাঁকসা থানার গাড়িটি। গাড়ি থেকে নেমে পুলিশকর্মীরা আশপাশেই গিয়েছিলেন। সে সময়ে হঠাৎ এক যুবক গাড়ি নিয়ে আসানসোলের দিকে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশকর্মীরা কাঁকসা থানায় বিষয়টি জানান। সঙ্গে সঙ্গে আসানসোল পর্যন্ত সব থানাকে গাড়ি ছিনতাইয়ের খবর জানিয়ে সতর্ক করে দেয় কাঁকসা থানা।
এক ঘণ্টা পরে খবর পাওয়া যায়, আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ গাড়িটি আটক করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক তথা থানার গাড়ির ওই চালক অধিকাংশ সময়ে নেশা করে থাকতেন। পুলিশ তাঁকে সতর্ক করা সত্ত্বেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাঁকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, সেই ক্ষোভেই ওই যুবক এ দিন সুযোগ পেয়ে থানার গাড়ি ছিনতাই করে পালান।