Siliguri Tea Garden: বোনাসের বিক্ষোভে এ বার কাজ বন্ধ পাহাড়ের বাগানে – siliguri tea garden workers start protests over bonus


এই সময়, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি: চা-বাগানে বোনাসের দাবি ঘিরে উত্তরোত্তর উত্তাপ বাড়ছে পাহাড় এবং তরাই-ডুয়ার্সে। বাগানে গেট মিটিং, বিক্ষোভ, বন্‌ধের পর আজ, বুধবার থেকে পাহাড়ের প্রতিটি চা-বাগানে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত নিল শ্রমিক ইউনিয়নগুলির সমন্বয় কমিটি। আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, ২০ শতাংশ হারেই বোনাস দিতে হবে।অন্য দিকে, মালিকপক্ষ স্বাভাবিক উৎপাদন না-হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে ১৩ শতাংশ হারে বোনাস দিতে চাইছেন। বিরোধ মেটাতে মঙ্গলবার শ্রম দপ্তর তরাই ও ডুয়ার্সের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে ১৬ শতাংশ হারে বোনাসের প্রস্তাব দেয়। তাতে ক্ষোভ আরও বাড়ে আন্দোলনকারীদের। শিলিগুড়ির দাগাপুরে শ্রম দপ্তরে দিনভর বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা। সমন্বয় সমিটির তরফে জেবি তামাং বলেন, ‘শ্রম দপ্তর তরাই-ডুয়ার্সের সঙ্গে কী করে পাহাড়কে মেলায়? তরাই-ডুয়ার্সের চা পাতা বিক্রি হয় ২৫০-৩০০ টাকা কিলোগ্রাম দরে। আর পাহাড়ের চা পাতা বিক্রি হয় ১৪-১৫ হাজার টাকা কিলো দরে। ২০ শতাংশ হারে বোনাস দিতেই হবে।’

শান্ত নেই তরাই-ডুয়ার্সও। সেখানে বাগান-শ্রমিকদের ১৬ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বহু বাগানেই মালিকপক্ষ ৯ শতাংশের বেশি বোনাস দিতে রাজি হচ্ছেন না বলে অভিযোগ। অনেক বাগান-মালিক আবার দু’কিস্তিতে বোনাস দেওয়ার কথা বলছেন। তাঁদের যুক্তি, খরা পরিস্থিতিতে বহু চা-বাগানে উৎপাদন মার খেয়েছে। মালিকদের মনোভাব দেখে ডুয়ার্সেও তাই প্রতিদিন কোনও না কোনও চা-বাগানে বিক্ষোভ চলছিল। মঙ্গলবার বানারহাটের বিভিন্ন চা-বাগানের শ্রমিকরা দিনভর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছেন।

সকালে কেন্দ্রীয় সরকারের ভারীশিল্প মন্ত্রকের অধীন অ্যান্ড্রু ইউল কোম্পানির কারবালা, বানারহাট, নিউ ডুয়ার্স ও চুনাভাটি—এই চারটি চা বাগানের শ্রমিকরা প্রথমে গেট মিটিং করেন। তার পর সামিল হন সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে। জাতীয় সড়ক, ভারত-ভুটান সড়কের চারটি স্থানে অবরোধ হয়। বানারহাট ব্লক কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। ধূপগুড়ির এসডিপিও গিলসন লেপচা, বানারহাটের বিডিও নিরঞ্জন বর্মন, বানারহাট থানার আইসি শান্তনু সরকার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্বের সঙ্গে বোনাস নিয়ে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিলেও শ্রমিকরা অবরোধে অনড় থাকেন।

বিকেল নাগাদ সেন্ট্রাল লেবার কমিশনার রূপা ভারতি মোবাইলে ইউনিয়ন নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলার আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেন। যদিও সন্ধ্যাতেও অবরোধ চলেছে।

পাহাড়ে ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক চা শ্রমিকদের, সমর্থন হামরো পার্টি-বিজেপির
মালিকপক্ষের সংগঠন ডিবিআইটিএ-র সেক্রেটারি শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, অ্যান্ড্রু ইউল কোম্পানির অধীন চারটি চা-বাগানে আর্থিক সমস্যা থাকায় ১৬ শতাংস বোনাস দু’টি কিস্তিতে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। শ্রমিকরা তা মানতে চাইছেন না। এক কিস্তিতে বোনাস দেওয়ার দাবি নিয়ে আলোচনা চলছে। নিউ ডুয়ার্স চা-বাগানের শ্রমিক মিনতি গোপ বলেন, ‘আমরা ১৬ শতাংশ বোনাস এক কিস্তিতেই চাই।’

চুনাভাটি চা-বাগানের শ্রমিক ললিতা ওঁরাও বলেন, ‘পুজোর আর কটা দিনই বা বাকি। আমাদের এখনও বোনাস হয়নি। এর পর দু’কিস্তিতে বোনাস নিয়ে কী করব? সারা বছর কাজ করে যদি বাচ্চাদের নতুন জামা-কাপড় দিতে না পারি তা হলে কী লাভ বোনাসে!’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *