ফাঁড়ির এক পুলিশকর্মী বলেন, ‘সারাদিন কাজ করার পর স্নানের জন্য জল না পাওয়া গেল কী অসুবিধা হয় তা সকলের জানা আছে। সামনেই পুজো। দিনের অধিকাংশ সময় ডিউটি করতে হবে। তখনও যদি এই অবস্থা থাকে খুবই সমস্যা হবে।’ গত কয়েকদিন ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল না পেয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ সিটি সেন্টার এলাকার একটি বহুতল আবাসনের বাসিন্দারা।
হঠাৎ জলের এত সমস্যা কেন? পুরসভা সূত্রে খবর, পাম্পের কাজে নিযুক্ত কর্মীদের গাফিলতিতেই এই সমস্যা। তার উপর দক্ষ পাম্প অপারেটরও নেই। পুরসভার পাম্প মেরামতের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সাগর কর্মকার বলেন, ‘কয়েকদিন আগের ঘটনা, সিটি সেন্টারের পাম্পের দায়িত্বে থাকা নাইট শিফটের কর্মীরা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। পাম্প জলে ডুবে যায়। ওই অবস্থায় পাম্প চালিয়ে দেওয়ায় শর্ট সার্কিট হয়ে পাম্প বিকল হয়ে যায়। তার জন্য সিটি সেন্টার ফাঁড়ি-সহ কয়েকটি জায়গায় জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। একই ভাবে বিধাননগরেও জলে ডুবে থাকা অবস্থায় পাম্প চালিয়ে দেওয়ায় দু’টি পাম্প নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’
দুর্গাপুর পুরসভায় ৪৩টি ওয়ার্ড রয়েছে। তার মধ্যে ৩ থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ডিএসপি ও ৩৯ থেকে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে ডিপিএল জল সরবরাহ করে। বাকি ওয়ার্ডগুলিতে জল সরবরাহ করে পুরসভা। এরজন্য দু’টি পাম্পিং স্টেশন থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৯-২০ মিলিয়ন গ্যালন জল সরবরাহ করা হয়।
অঙ্গদপুরে যে পাম্পিং স্টেশন রয়েছে সেখানকার পাম্পগুলি বহু পুরোনো। কর্মীদের বক্তব্য, পুরোনো পাম্প বদল করে নতুন পাম্প না বসালে আগামী দিনে সমস্যা আরও বাড়বে। পাম্প বিকলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘পাম্পগুলি বহু পুরোনো। বদল করা প্রয়োজন। কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। দ্রুত পাম্প মেরামত করে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সরবরাহ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’