যানজটের জেরে অফিস থেকে বের হওয়া মানুষজনকে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। যানজটে আটকে যায় বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িও। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে স্পিকারের গাড়ি গন্তব্যের দিকে রওনা করানো হয়। কিন্তু দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি চলে জুনিয়র ডাক্তারদের।

আন্দোলনকারীদের পক্ষে দেবাশিস হালদার বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। তার মধ্যেই কয়েকজন পুলিশ আমাদের কয়েকজনকে হেনস্থা করে। আমরা রাস্তার পাশে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বা বসে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে চেয়েছিলাম। টানা হ্যাঁচড়া করে কয়েকজনকে সরানো হয়। পুলিশকে পরে যখন বিষয়টা আমরা বললাম, তখন বলা হল, আমরা দেখছি।’ পরে তিনি কর্মবিরতি থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছেন। তবে এও স্পষ্ট করেছেন সরকার দাবি না মানা অবধি ধর্নামঞ্চ থাকছে।
এদিন সন্ধ্যাতেই কর্মবিরতি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কথা ছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। কর্মবিরতি নিয়ে ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের নিজেদের মধ্যে দ্বিমত আগে থেকেই ছিল। নতুন করে সিনিয়র চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ চাইছেন, জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে ফিরুন। সেই মতামতকে মান্যতা দিয়েই কর্মবিরতি পথ থেকে আপাতত সরে এলেন জুনিয়র ডাক্তাররা।