Trinamool Councillor,​​অটোর রুট নিয়ে বিবাদে হেনস্থার মুখে কাউন্সিলার! – trinamool councillor in dispute with auto drivers at madhyamgram


এই সময়, মধ্যমগ্রাম: অটোর রুট নিয়ে চালকদের সঙ্গে মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলারের বিরোধ ছিলই। বৃহস্পতিবার সেই বিরোধের জেরে কাউন্সিলারকে অটো চালকদের হাতে হেনস্থার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। পাল্টা অটো চালকদের দাবি, গাজোয়ারি করে ওই কাউন্সিলার এক চালকের অটোর চাবি কেড়ে নেন।বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মধ্যমগ্রামের সাহেববাগান ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। তৃণমূলের কাউন্সিলারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের অটো চালকরা। এই ঘটনায় দলের অন্দরে কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল বলে মনে করছেন অনেকে।

মধ্যমগ্রামের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাত্রপাড়া থেকে মধ্যমগ্রাম স্টেশন পর্যন্ত একটি অটো রুট আছে। আগে এই রুটে ভ্যান চলত। কিন্তু ক্রমেই লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং গন্তব্যে দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে অটো রুটটি চালু হয়েছিল। তবে ভ্যান উঠে যায়নি। পাশাপাশি চলছে টোটোও। অটো, টোটো এবং ভ্যানের মধ্যে যাতে কোনও বিরোধ না হয়, তাই অটোর জন্য পাত্রপাড়া থেকে পূর্বাচল মাঠ হয়ে কোড়া প্রাথমিক স্কুল, হরিসভার মাঠ হয়ে মধ্যমগ্রাম স্টেশনে যাওয়ার রুট ঠিক হয়েছিল।

অভিযোগ, এখন অটো চালকরা পাড়ার ভিতর দিয়ে বাইপাসের রুট ধরে যাতায়াত করতে শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের অধীন অটো চালকদের ইউনিয়নের সঙ্গে মতবিরোধ তৈরি হয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার সুশান্ত রায়ের।

বাইপাস রুট ব্যবহার না করার জন্য অটো চালক ও ইউনিয়নের কাছে আবেদন করেছিলেন বলে দাবি করেন কাউন্সিলার সুশান্ত রায়। কিন্তু তা শোনা হয়নি। এ নিয়েই এদিন অটো চালক তথা ইউনিয়নের সহ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সাহার সঙ্গে প্রথম বিবাদ শুরু হয় কাউন্সিলারের। বিশ্বজিৎ বাইপাস রুট ধরে অটো নিয়ে যাওয়ার সময়ে সাহেববাগানে অটো আটকে কাউন্সিলার চাবি কেড়ে নেন বলে অভিযোগ। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা, পরে মারপিটও হয় বলে জানা গিয়েছে।

RG Kar Protest: রাত দখলের কর্মসূচিতে ফের হামলা, আক্রান্ত মহিলারাও

এরপর বিভিন্ন রুটের অটো চালকরা জড়ো হয়ে কাউন্সিলার সুশান্ত রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। হেনস্থার মুখেও পড়তে হয় বলে অভিযোগ কাউন্সিলারের। সুশান্ত রায় বলেন, ‘বাইপাস রুট ব্যবহার না করার জন্য বারবার নিষেধ করা সত্বেও অটো চালকরা কর্ণপাত করেননি। বাইপাস রুটে ভ্যান এবং টোটো চলে বলেই নিষেধ করা হয়েছিল। এ দিন বিশ্বজিতের অটোর চাবি নিয়ে নেওয়াতেই ও আমার জামার কলার ধরে মারধর করেছে। পরে আরও অটো চালক এসে আমাকে হেনস্থা করে।’

অন্য দিকে, বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘টাকা নিয়ে রুটে অতিরিক্ত অটো ঢোকানোর চেষ্টা করেছিলেন কাউন্সিলার। এর প্রতিবাদ করায় এ দিন আমার অটো আটকে চাবি কেড়ে নেন কাউন্সিলার। তারই প্রতিবাদ করা হয়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *