Jaynagar News: জয়নগরে বচসায় জড়ালেন অগ্নিমিত্রা-প্রতিমা, উঠল ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান – bjp leader agnimitra paul and tmc mp pratima mondal confrontation on jaynagar child death case


নাবালিকা হত্যার অভিযোগে শনিবার সকাল থেকেই রণক্ষেত্র জয়নগর। ঘটনাস্থলে গিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল ও বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তৃণমূল সাংসদকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়েছে বিজেপির তরফে। পাল্টা, বিজেপির বিরুদ্ধে অশান্তি পাকানোর অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ।জয়নগরের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে খুনের ঘটনায় শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর থানা এলাকা। পুলিশ ফাঁড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে দেখা করতে যান জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। সাংসদ ওই এলাকায় পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দেওয়া হয়। একসময় বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় সাংসদকে।

তৃণমূল সংসদের উদ্দেশে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘পুলিশ কেন নিষ্ক্রিয়? আপনাকে জবাব দিতে হবে দিদি!’ পাল্টা, বিজেপি নেত্রীকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ করেন তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ককে হাত জোড় করে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করলেন প্রতিমা। তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘এটাই ওঁদের শিক্ষা। আমি কাউকে কিছু বলিনি। ওরা অশান্তি করার চেষ্টা করছে।’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয় পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে মোতায়ন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে, নিহত নির্যাতিতা বালিকার দেহ সংরক্ষণের দাবিতে হাসপাতালে ধরনায় বসেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলা হয়। হাসপাতালে যান সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়ও।

কোচিং থেকে ফেরার পথে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ, তুমুল উত্তেজনা জয়নগরে
এ দিন দুপুর থেকে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়িকা তথা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিজেপি নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভের মাঝেই এলাকায় যান কুলতলির তৃণমূল বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল। বিধায়ক যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। রীতিমতো তাড়া করা হয় বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডলকে। শনিবার বিকেল পর্যন্ত চাপা উত্তেজনা রয়েছে জয়নগরে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *