School Service Commission,উচ্চ প্রাথমিক কাউন্সেলিংয়ে শূন্যপদহীন স্কুলে সুপারিশ! ফের বিপাকে চাকরিপ্রার্থীরা – upper primary job aspirants get recommendation without vacancy school


এই সময়: প্রায় এক যুগ পরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) মাধ্যমে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের কাউন্সেলিং সবে শুরু হয়েছে। আর দ্বিতীয় দিনেই ঘটল বিপত্তি। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের সুমন দাস আট বছর অপেক্ষার পর শুক্রবার কাউন্সেলিংয়ে ইতিহাসের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগের সুপারিশ পেয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের কালচিনির একটি হিন্দি-মাধ্যম স্কুলে। কিন্তু এসএসসি অফিস থেকে বেরিয়েই সুমনের মাথায় হাত। কারণ, কালচিনির ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ফোন করতেই সুমনকে জানানো হয়, ইতিহাসের কোনও পোস্ট ফাঁকা নেই সেখানে! পুজোর আগে ফের দুর্ভাবনাই সঙ্গী হলো সুমনের।সল্টলেকের আচার্য সদনের সামনে হেল্প ডেস্ক করেছে আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চ। সুমনের বিষয়টি নিয়ে তারা সঙ্গে সঙ্গে কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করে। কমিশনের তরফে সুমনকে জানানো হয়, নিয়োগের সুপারিশপত্র নিয়ে আগে কালচিনির ওই স্কুলে যেতে হবে। স্কুলে শূন্যপদ নেই, প্রধান শিক্ষক এই মর্মে রিপোর্ট দিলে তখন এসএসসি ভেবে দেখবে। মঞ্চের সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘দু-দিনে সবে ১৮৬ জন স্কুল বাছাই করেছেন। তাতেই এই অবস্থা! তা হলে ১৪ হাজার শূন্যপদ পূরণ করতে গিয়ে কী দাঁড়াবে, ভেবেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে।’

তাঁর আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ মিলছে এসএসসি-র তথ্যেও। গত বছরেও এমপ্যানেল্ড ৮,৯৫৪ জন চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিংয়ে ৯০০ স্কুলের ঠিকানা ও ক্যাটিগরিতে (রস্টার) ভুল ছিল। এসএসসি-র তরফে এ ব্যাপারে স্কুলশিক্ষা দপ্তর ও কমিশনারেটের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছিল। কিন্তু এ বার এসএসসি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৪০৫২ জন প্রার্থীর জন্যে ওয়েবসাইটে ভ্যাকেন্সি লিস্ট আপলোড করতেই দেখা গিয়েছে, আগের বারও যে সব স্কুলে অন্তত শূন্য শিক্ষক-পদ ছিল, এমন বহু স্কুলের নামই ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে জানতে কমিশনের চেয়ারপার্সন সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে সন্ধ্যার পরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।

নিয়োগ পেয়েও সংশয়, সরকারি চাকরি নিলেন না ২৮% প্রার্থীই

এ দিন দুই অর্ধ মিলিয়ে ১১০ জনের কাউন্সেলিংয়ের কথা ছিল। কিন্তু ৮৪ জন উপস্থিত হয়েছিলেন। অর্থাৎ, ২৬ জন গরহাজির। এই গরহাজিরার জন্যে চাকরিপ্রার্থীরা দু’টি কারণকে দায়ী করছেন। প্রথমত, ২০১২ সালের পর এই প্রথম উচ্চ প্রাথমিক স্তরে (পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণি) শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে। ইতিমধ্যে গত এক দশকে বার বার নিয়োগ ঘিরে মামলার জেরে চাকরিপ্রার্থীরা অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। ফলে অন্যত্র চাকরি খুঁজে নিয়েছেন অনেকে।

কেউ কেউ স্কুলে নিয়োগ ঘিরে মামলার চক্করে জড়াতেও চান না। আর একদল চাকরিপ্রার্থীর বক্তব্য, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাসিন্দাকে সুপারিশ করা হয়েছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনির স্কুলে, যা প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে। হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দাকে আবার ১৫০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের স্কুলে সুপারিশ করা হচ্ছে। এত দূরত্ব পেরিয়ে অনেকেই শিক্ষকতায় যোগ দিতে চাইছেন না। অপেক্ষায় থেকে থেকে বহু চাকরিপ্রার্থীর বয়সও ৫০ ছুঁই-ছুঁই হয়ে গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *