তাঁর আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ মিলছে এসএসসি-র তথ্যেও। গত বছরেও এমপ্যানেল্ড ৮,৯৫৪ জন চাকরিপ্রার্থীর কাউন্সেলিংয়ে ৯০০ স্কুলের ঠিকানা ও ক্যাটিগরিতে (রস্টার) ভুল ছিল। এসএসসি-র তরফে এ ব্যাপারে স্কুলশিক্ষা দপ্তর ও কমিশনারেটের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছিল। কিন্তু এ বার এসএসসি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ১৪০৫২ জন প্রার্থীর জন্যে ওয়েবসাইটে ভ্যাকেন্সি লিস্ট আপলোড করতেই দেখা গিয়েছে, আগের বারও যে সব স্কুলে অন্তত শূন্য শিক্ষক-পদ ছিল, এমন বহু স্কুলের নামই ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে জানতে কমিশনের চেয়ারপার্সন সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে সন্ধ্যার পরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।
এ দিন দুই অর্ধ মিলিয়ে ১১০ জনের কাউন্সেলিংয়ের কথা ছিল। কিন্তু ৮৪ জন উপস্থিত হয়েছিলেন। অর্থাৎ, ২৬ জন গরহাজির। এই গরহাজিরার জন্যে চাকরিপ্রার্থীরা দু’টি কারণকে দায়ী করছেন। প্রথমত, ২০১২ সালের পর এই প্রথম উচ্চ প্রাথমিক স্তরে (পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণি) শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে। ইতিমধ্যে গত এক দশকে বার বার নিয়োগ ঘিরে মামলার জেরে চাকরিপ্রার্থীরা অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। ফলে অন্যত্র চাকরি খুঁজে নিয়েছেন অনেকে।
কেউ কেউ স্কুলে নিয়োগ ঘিরে মামলার চক্করে জড়াতেও চান না। আর একদল চাকরিপ্রার্থীর বক্তব্য, উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের বাসিন্দাকে সুপারিশ করা হয়েছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনির স্কুলে, যা প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে। হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দাকে আবার ১৫০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের স্কুলে সুপারিশ করা হচ্ছে। এত দূরত্ব পেরিয়ে অনেকেই শিক্ষকতায় যোগ দিতে চাইছেন না। অপেক্ষায় থেকে থেকে বহু চাকরিপ্রার্থীর বয়সও ৫০ ছুঁই-ছুঁই হয়ে গিয়েছে।