আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ চলছে। এর মাঝেই জয়নগরে নাবালিকাকে ‘ধর্ষণ-খুন’-এর ঘটনায় নতুন করে রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এ বার এক নার্সকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বীরভূমে। ঘটনায় অভিযুক্ত প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক চিকিৎসক। যদিও, ওই ডাক্তারকে ‘ফাঁসানো’ হয়েছে বলে দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।বীরভূমের চাতরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক চয়ন মুখোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়েছে। ওই হাসপাতালেরই কর্মরত নার্স ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। নার্সের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চিকিৎসকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। কোলাঘাটে নিজের বাড়ি থেকে ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে চাতরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। অন্যদিকে, গত সাত বছর ধরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করছেন ওই নার্স। শনিবার মুরারই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে রামপুরহাট থানায় গিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান নির্যাতিতা।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে চাতরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যোগ দেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। অন্যদিকে, গত সাত বছর ধরে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ করছেন ওই নার্স। শনিবার মুরারই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে রামপুরহাট থানায় গিয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানান নির্যাতিতা।
ঘটনাটি নিয়ে পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘নার্সের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ অন্যদিকে, রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শোভন দে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না। আইন আইনের পথে চলবে।’ তবে, ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় কিছু বাসিন্দাদের অবশ্য দাবি, ওই চিকিৎসককে মিথ্যা অভিযোগে ‘ফাঁসানো’ হয়েছে। চিকিৎসক ‘নির্দোষ’ দাবি করে হাসপাতালের সামনে জমায়েত করেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তারবাবু সব সময় আমাদের পাশে থাকেন। ওঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। ওই ডাক্তারবাবুকেই আমাদের এখানকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চাই।’