Durga Puja 2024: পথে জনতার ঢল, পুজোয় খরা স্পনসরের – kolkata many durga puja committee not getting add sponsor


যাদবপুরের সুকান্ত সেতু হয়ে সন্তোষপুরের উপর দিয়ে ইএম বাইপাস যাওয়ার রাস্তায় পরপর কয়েকটি বড় দুর্গাপুজো রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই পুজোগুলি ভালোই কর্পোরেট স্পনসরশিপ পায়। কিন্তু রবিবার চতুর্থীর রাতেও মূল রাস্তার দু’ধারের বাঁশের কাঠামোয় স্পনসরদের ফ্লেক্স, ব্যানার টাঙানোর কাজ চলতে দেখা গিয়েছে।ডায়মন্ড হারবার রোডের দু’পাশে বেহালার একাধিক হেভিওয়েট পুজো। এই রাস্তা দিয়ে এগোলেও দেখা যাচ্ছে স্পনসরশিপের জন্য জায়গা বরাদ্দ থাকলেও সব পূরণ হয়নি। উত্তর কলকাতায় চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, ভূপেন বোস অ্যাভেনিউ-সহ একাধিক সড়কেও এক ছবি। বৃহত্তর কলকাতায় বহু জায়গায় সোমবার, পঞ্চমীতেও ফ্লেক্স, ব্যানার, হোর্ডিংয়ের জন্য বাঁশের কাঠামো ফাঁকা।

দুর্গাপুজোর স্পনসরশিপ নিয়ে দীর্ঘদিন সক্রিয় একটি এজেন্সির কর্তা অভিষেক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘যে কর্পোরেট স্পনসরশিপ প্রত্যাশা করা হয়েছিল খুব বেশি হলে তার ৬০ শতাংশ এসেছে। যা এসেছে তার অধিকাংশ লোকাল। ফ্লেক্স, ব্যানার, গেট প্রভৃতির রেটও প্রত্যাশামতো পায়নি কেউ।’

অথচ দ্বিতীয়া থেকেই কলকাতায় পুজো দেখার ঢল নেমেছে। অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারের বিশ্লেষণ, ‘মণ্ডপে প্রচুর ভিড় হলেই যে স্পনসর আসবে, এমন নয়। কর্পোরেট সংস্থা মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত কনজ়িউমারদের দিকে তাকিয়ে বিপণন করে। সমাজের এই অংশের পালস বুঝেই কর্পোরেট সংস্থা স্পনসরশিপ দেয়।’

বোসপুকুর থেকে চেতলা রুটেও পরপর হাইপ্রোফাইল পুজো রয়েছে। সেখানেও এ বার কর্পোরেট স্পনসরদের থেকে প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি। বোসপুকুর শীতলা মন্দিরের সভাপতি কাজল সরকারের কথায়, ‘যতগুলি গেট আমরা প্রতি বছর করি, এ বার তা করতে পারিনি। হাতেগোনা কয়েকটি করতে পেরেছি। অনেকে স্পনসর করার কথা বলেও শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে গিয়েছে।’

সন্তোষপুর ত্রিকোণ পার্ক পুজোর কর্ণধার দেবাশিস সরকারের কথায়, ‘সন্তোষপুর রোডের উপরে অনেক জায়গায় ফাঁকা থেকে গিয়েছে, অতীতে কখনও এমন হয়নি। তবে সার্বিক হিসেবে আমাদের এখানে স্পনসরশিপের অবস্থা ততটা খারাপ নয়। কিন্তু মুম্বই থেকে যে স্পনসরশিপ আসে, তা এ বারে প্রায় আসেইনি।’

ফ্লেক্স, ব্যানার, এলইডি ডিসপ্লে ছাড়াও শুধু গেটের ক্ষেত্রেই পুজোগুলি বহু স্পনসরশিপ পায়। ওভারহেড গেট, এল-শেপড গেট, এলইডি পিলার তৈরি হয় কর্পোরেট স্পনসরের ভিত্তিতেই। ফ্লেক্স-ব্যানারের ক্ষেত্রে ন্যূনতম দেড়-দু’হাজার টাকা থেকে রেট শুরু আর গেটের ক্ষেত্রে পাঁচ-ছ’হাজার টাকা থেকে। যে পুজো উদ্যোক্তাদের যথেষ্ট জায়গায় থাকে, তাঁরা ফুড স্টল-সহ বিভিন্ন স্টলের জন্য জায়গা বরাদ্দ করেন। সেখানেও হরেক কর্পোরেট স্পনসরশিপ থাকে।

কেন এই ভাঁটার টান? কনফেডারেশন অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনসের প্রেসিডেন্ট সুশীল পোদ্দারের ব্যাখ্যা, ‘পুজোর স্পনসরশিপের ক্ষেত্রে কর্পোরেট সংস্থাগুলি খরচ কমাচ্ছে। একাধিক বড় কর্পোরেট এ বছর স্পনসরশিপ দেয়নি। কিছু সেক্টর থেকে বেশ কয়েক বছর ধরেই স্পনসরশিপ আসছে না।’ টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার, মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলি বেশ কয়েক বছর দুর্গাপুজোয় আর স্পনসরশিপ করছে না।

অটোমোবাইল সেক্টর, বৃহৎ এমএমসিজি সংস্থারও স্পনসরশিপ বন্ধ। ব্যাঙ্ক এবং ফিন্যানশিয়াল সেক্টর থেকে স্পনসরশিপ কমে গিয়েছে। ফোরাম ফর দু্র্গোৎসবের সাধারণ সম্পাদক শাশ্বত বসুর কথায়, ‘লোকসভা নির্বাচন গিয়েছে, আরজি করের ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে স্পনসরশিপ কমেছে। বড় পুজোগুলি স্পনসর পেয়েছে, কিন্তু মাঝারি পুজোগুলি সাড়া পায়নি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *