ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের কথায়, ‘সিনিয়র চিকিৎসকদের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে সরকারের উপর চাপ বাড়াল। প্রতীকী ইস্তফার খাতায় কলমে কোনও ভিত্তি নেই। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবেও ইস্তফা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেছেন এই চিকিৎসকরা। যদি সিনিয়র চিকিৎসকরা ব্যক্তিগত ভাবে ইস্তফা দেন সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা পরিকাঠামো ভেঙে পড়তে পারে।’
এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্যভবনের পক্ষে সিনিয়র চিকিৎসকদের এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে শনিবার থেকে ধর্মতলায় আমরণ অনশন শুরু করেছেন কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ন্যায়বিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা।
সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিক বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানান। তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন, ১০ অক্টোবরের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে। সকলকে কাজে ফেরার জন্য আবেদনও করেছিলেন তিনি। তাঁর বার্তার পরের দিনই সিনিয়র চিকিৎসকদের এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।