প্রথম ধাপ পেরিয়ে দ্বিতীয় ধাপকে শান্তির প্রাঙ্গণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে বেলুড় মঠের রূপসজ্জা তুলে ধরা হয়েছে। শান্তির প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের প্রদীপ ও মোমবাতি দিয়ে স্বাগত জানানোর ছবি শোভা পাচ্ছে। যেখানে রয়েছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, সারদা মা এবং স্বামী বিবেকানন্দের ছবি। শিল্পী প্রদীপ রুদ্রপালের তৈরি মূর্তিও বিশেষ আকর্ষণ।
সোদপুর ২ নম্বর দেশবন্ধুনগর দীপ প্রাঙ্গণের পুজোও ৭৫ বছরে। তাদের থিম ভাবনা ‘খুল যা সিম সিম’। আলিবাবার চল্লিশ চোরের গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। চিচিং ফাঁকের শব্দে খুলবে মণ্ডপের দরজা। মূল মণ্ডপে ঢুকলেই নজরে আসবে গুহার ভিতরে সোনাদানা, ঝর্ণার জল, জলের মধ্যে হাঁস খেলে বেড়ানো, ঘোড়ার পায়চারির চিত্র। মেটালিক প্রতিমা তাদের অন্যতম আকর্ষণ। ৩ নম্বর দেশবন্ধু নগর নবোদয় সঙ্ঘের ৭৪ বছরে পুজোর থিম ‘আদিম’। যেখানে আদিম যুগের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপ সজ্জায়।
আগরপাড়া ইউথ রিক্রিয়েশন সেন্টারের পুজোয় কম্বোডিয়ার বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে তৈরি হয়েছে মণ্ডপ। থিমের নাম, ‘ওম শান্তি’। ৮৫ ফুট উচ্চতার মণ্ডপের ভিতরে ঢুকলেই নজরে আসবে বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনি, যা অয়েল পেইন্টিংয়ের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রয়েছে ড্রাগনের চিত্র। সঙ্গে বুদ্ধর মডেল৷
৭৬ বছরে আগরপাড়া মহাজাতিনগর সর্বজনীন দুর্গোৎসব পুজো কমিটির এবারের থিম ভাবনা ‘সৃষ্টির উল্লাস’। এখানে বাঁশের অবলুপ্ত শিল্পকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। মণ্ডপ তৈরিতে কোনও কাপড় ব্যবহার করা হয়নি। বাঁশ চিরে ঝুড়ি, বসার আসন ছাড়াও একাধিক বাঁশের শিল্পের সন্ধান মিলবে এই মণ্ডপে। যামিনী রায়ের ছবি শোভা পাচ্ছে দেওয়াল জুড়ে।
আগরপাড়া তারাপুকুর মিলন সঙ্ঘ সর্বজনীনের পুজোয় মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে থাইল্যান্ডের ব্লু-টেম্পলের আদলে। মূল মণ্ডপে ঢুকতেই নজরে আসবে ৩২ ফুটের লম্বা দু’টি ড্রাগন। মণ্ডপের এক পাশে শায়িত অবস্থায় রয়েছে ৪০ ফুটের লম্বা বুদ্ধমূর্তি। থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে মণ্ডপের ভিতরে ভাসমান দুর্গার দশ হাতে থাকবে পদ্ম। মহিষাসুর অস্ত্র ছেড়ে দু’হাত তুলে মুক্তি চাইছে। মণ্ডপের ভিতরে থাকছে ১৪০টি বুদ্ধমূর্তি ও ১৬০টি ড্রাগন।
