Durga Puja: অসুরের সঙ্গে কার মুখের মিল, চর্চা – berhampore swargadham sevak sangha durga puja main attraction is asur


এই সময়, বহরমপুর: দেবী নয়, অসুর দেখতে ভিড় উপচে পড়ছে বহরমপুরের স্বর্গধাম সেবক সংঘে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই পুজোর অসুর-মূর্তি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেয়ে যাওয়া কমেন্টে দাবি করা হয়েছে, এই অসুরের মুখ তৈরি হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের মুখের আদলে। যদিও এই ‘মিল’ ইচ্ছাকৃত নয় বলেই দাবি করেছেন শিল্পী এবং পুজোর উদ্যোক্তারা।প্রয়াত যামিনী পালের পুজো হিসেবেই পরিচিত বহরমপুরের এই বারোয়ারি উদ্যোগ। প্রতি বছর সবার নজর থাকে এই প্যান্ডেলে। কারণ প্রতি বারই ভাবনার অনন্যতায় বিশেষ মাত্রা পায় এখানকার প্রতিমা। এ বার পুজোর ৭৮ বছর। শেষ মুহূর্তে অসুরের মুখের আদল নিয়ে কানাঘুষো শুরু হওয়ায় উৎসাহী মানুষের আনাগোনা বাড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ছড়িয়ে পড়ে। আলোচনাতেও বার বার উঠে আসে এই অসুরের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের মুখের সাদৃশ্যের কথা।

একুশ বছর ধরে এই পুজো কমিটির প্রতিমা গড়েছেন মৃৎশিল্পী অসীম পাল। এ বছরও মূর্তি গড়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে অসুরের মুখের মিল নেহাতই কাকতালীয়। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের মুখের আদলে অসুরের মুখ তৈরির কোনও পরিকল্পনা তাঁর ছিল না। পোর্ট্রেটেও মিল নেই। তিনি বলেন, ‘অসুরের মুখ নিজস্ব ভাবেই গড়া হয়। ইচ্ছাকৃত ভাবে কারও মুখের সঙ্গে মিলিয়ে গড়িনি। তবু অনেকেই সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন।’

প্যান্ডেলে আসা দর্শনার্থী অর্চিমান ঘোষ বলেন, ‘পুজো কমিটির এই চিন্তাধারা খুব ভালো সাড়া ফেলেছে। আমরা চাইব, সন্দীপ ঘোষের মতো সমাজের অসুররা নারীশক্তির হাতেই বধ হোক।’

পুজো কমিটির সদস্য প্রলয় গুপ্ত বলেন, ‘আমাদের এই বছরের থিম বৈচিত্রের পরিধানে ঐক্য। প্রতি বছর আমাদের প্রতিমায় কিছু অভিনবত্ব থাকে। সন্দীপ ঘোষের মুখের সঙ্গে অসুরের মুখের মিল থাকতে পারে, তবে সেটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়নি।’

নাম না প্রকাশের শর্তে আরও এক পুজো উদ্যোক্তা বলেন, ‘এ বার আমাদের ৭৮ তম বর্ষ। তাই প্রতিমাগুলিকে বিভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। প্রতি বছর মা দুর্গার আলাদা-আলাদা ধরনের অসুর তৈরির চেষ্টা করি। তবে সন্দীপ ঘোষকে অসুর বানাব, এই ধরনের চিন্তাভাবনা আমরা করিনি।’ যেহেতু ‘অসুর’ একটি সম্প্রদায়, তাই ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *