একুশ বছর ধরে এই পুজো কমিটির প্রতিমা গড়েছেন মৃৎশিল্পী অসীম পাল। এ বছরও মূর্তি গড়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে অসুরের মুখের মিল নেহাতই কাকতালীয়। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের মুখের আদলে অসুরের মুখ তৈরির কোনও পরিকল্পনা তাঁর ছিল না। পোর্ট্রেটেও মিল নেই। তিনি বলেন, ‘অসুরের মুখ নিজস্ব ভাবেই গড়া হয়। ইচ্ছাকৃত ভাবে কারও মুখের সঙ্গে মিলিয়ে গড়িনি। তবু অনেকেই সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে মিল খুঁজে পেয়েছেন।’
প্যান্ডেলে আসা দর্শনার্থী অর্চিমান ঘোষ বলেন, ‘পুজো কমিটির এই চিন্তাধারা খুব ভালো সাড়া ফেলেছে। আমরা চাইব, সন্দীপ ঘোষের মতো সমাজের অসুররা নারীশক্তির হাতেই বধ হোক।’
পুজো কমিটির সদস্য প্রলয় গুপ্ত বলেন, ‘আমাদের এই বছরের থিম বৈচিত্রের পরিধানে ঐক্য। প্রতি বছর আমাদের প্রতিমায় কিছু অভিনবত্ব থাকে। সন্দীপ ঘোষের মুখের সঙ্গে অসুরের মুখের মিল থাকতে পারে, তবে সেটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়নি।’
নাম না প্রকাশের শর্তে আরও এক পুজো উদ্যোক্তা বলেন, ‘এ বার আমাদের ৭৮ তম বর্ষ। তাই প্রতিমাগুলিকে বিভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। প্রতি বছর মা দুর্গার আলাদা-আলাদা ধরনের অসুর তৈরির চেষ্টা করি। তবে সন্দীপ ঘোষকে অসুর বানাব, এই ধরনের চিন্তাভাবনা আমরা করিনি।’ যেহেতু ‘অসুর’ একটি সম্প্রদায়, তাই ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিতর্কও শুরু হয়েছে।