তবে, এ দিন তিনি নিজের ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘একজন বাবা হিসাবে আমার সনির্বন্ধ অনুরোধ জীবন বাজি রেখে অনশন আর চালিয়ে যাওয়া উচিত নয়। তোমরা ভালো করেই জানো কী কী মেটাবলিক চেঞ্জ দেহাংশের ক্ষতি করতে পারে। তোমরা রিলে অনশন শুরু করো। আমরা সিনিয়ররা সব সময় তোমাদের সঙ্গে আছি।’ তাঁর সংযোজন, এই অমানবিক সরকারের জন্য তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নষ্ট করো না। এরা বিদ্যানদের পছন্দ করে না।
ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলের সামনে গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে ‘আমরণ’ অনশনে শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসক জুনিয়রদের সমর্থন জানিয়ে প্রতীকী অনশনে বসেছেন। ক্রমশ জোরালো হচ্ছে চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবি। যদিও, বুধবার রাতে বৈঠকের পর মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, আমাদের বিশ্বাস, আজকের আলোচনাকে ইতিবাচক এবং গঠনমূলক আলোচনা হিসাবেই নেবেন ওঁরা। চিকিৎসকদের অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়।
অন্যদিকে, বুধবার সন্ধ্যায় ‘অভয়া পরিক্রমা’ চলাকালীন ত্রিধারা সম্মিলনীর পুজো থেকে কয়েকজন আন্দোলনকারী গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিবাদে লালবাজাররে সামনে হাজির হন কিছু আন্দোলনকারী। অশান্তির আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কার্যত দুর্গের চেহারা নিয়েছে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট চত্বর। গার্ডরেলে মোড়া রয়েছে গোটা এলাকা। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনীও।