এই সময়: উৎসবের মরশুমে কলকাতা পুলিশের আধিকারিক এবং কর্মীদের একাধিক নির্দেশ দিলেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। লালবাজার সূত্রের খবর, শহরের সব থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসারদের কমিশনার জানিয়ে দিয়েছেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেউ খারাপ ব্যবহার করলে তাঁর বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিতে হবে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। একই সঙ্গে প্রবীণ, মহিলা ও শিশুদের সঙ্গে নমনীয় আচরণ করতে বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার।মনোজের নির্দেশ, খারাপ আচরণ করে বাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। পুজোর সময়ে কোনও পুলিশ কর্মী মত্ত অবস্থায় থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলছে। ফলে দুর্গাপুজোকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দুর্গাপুজো উপলক্ষে রাস্তাঘাটে অসংখ্য মানুষের ভিড়। তার সুযোগ নিয়ে যাতে কোনও অপরাধ বা অঘটন না ঘটে, সে বিষয়েও তৎপর রয়েছে পুলিশ। সাদা পোশাকে দিনরাত কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। একই সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরায় চলছে নজরদারি।
দুর্গাপুজো উপলক্ষে রাস্তাঘাটে অসংখ্য মানুষের ভিড়। তার সুযোগ নিয়ে যাতে কোনও অপরাধ বা অঘটন না ঘটে, সে বিষয়েও তৎপর রয়েছে পুলিশ। সাদা পোশাকে দিনরাত কড়া নজরদারি চালাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। একই সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরায় চলছে নজরদারি।
লালবাজার সূত্রের খবর, এখন শহরজুড়ে প্রায় ২৭ হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। লালবাজার কন্ট্রোল রুম থেকে প্রতিটি ক্যামেরায় নজর রাখা হচ্ছে। ঠাকুর দেখতে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে যদি কেউ হারিয়ে যায়, সে জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুলিশ। তারা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে একটি পরিষেবা চালু করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘বন্ধু কলকাতা।’
এজন্য চালু হয়েছে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর – ৯১৬৩৭৩৭৩৭৩। ভিড়ের মধ্যে কেউ হারিয়ে গেলে তাঁর পরিবার এই নম্বরে ফোন করে পুলিশকে জানাতে পারবেন। একইসঙ্গে পুজোর দিনগুলিতে মত্ত চালকদের দাপাদাপি রুখতে কড়া হওয়ার কথা বলা হয়েছে সব ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে।