গত বৃহস্পতিবার রাতে অনিকেত মাহাতোর শিলদার বাড়িতে গিয়েছিল বিনপুর থানার পুলিশ। অনিকেতের বাবা-মাকে বোঝানো হয়, অনশনের কারণে ছেলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তাঁকে যেন অনশন তুলে নেওয়ার ব্যাপারে বোঝানো হয়। যদিও, ছেলের সিদ্ধান্তের বিষয়ে তাঁরা হস্তক্ষেপ করবেন না বলে পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছিলেন মা-বাবা।
তবে, ছেলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় দুশ্চিন্তা ছিলই। সেই কারণে শনিবার সকালে ঝাড়গ্রাম থেকে সোজা আরজি কর হাসপাতালে চলে আসেন তাঁর বাবা। ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর গত শনিবার থেকে ১০ দফা দাবিতে ধর্মতলায় ‘আমরণ অনশন’ শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। প্রথমে ছয় জন চিকিৎসক অনশন শুরু করলেও পরে সেই দলে যোগ দেন আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো।
গত ৬ অক্টোবর থেকে অনশন শুরু করেন অনিকেত মাহাতো। আরজি কর হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অনিকেতের শারীরিক আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে। তবে, যে কোনও মুহূর্তেই তা খারাপের দিকে যেতে পারে। পুরোপুরি সঙ্কটমুক্ত নন ওই জুনিয়র ডাক্তার। সেই কারণে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তবেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে।
তথ্য সহায়তায় : অনির্বাণ ঘোষ