ওই পড়ুয়ার চিৎকার শুনে অন্যান্য আবাসিকরা শৌচালয়ের সামনে ছুটে আসেন। এরপরই ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ওই যুবক শৌচালয়ের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেয়। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ হস্টেলের ওই শৌচালয় থেকে অভিযুক্তকে আটক করে। যুবকের নাম-পরিচয় জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেনই বা ওই যুবক হস্টেলে ঢুকে পড়েছিল, সে ব্যাপারেও তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালগুলিতে সুরক্ষার দাবি নিয়ে আন্দোলন চলার মাঝেই বাঁকুড়া মেডিক্যালের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হস্টেলে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তারক্ষীর দাবি, দীর্ঘক্ষণ ডিউটি করার মাঝে তিনি অল্প সময়ের জন্য শৌচালয়ে গিয়েছিলেন। তার ফাঁকেই ওই যুবক হস্টেলে ঢুকে পড়েছিল।
বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুন্ডু লেডিজ হস্টেলে নিরাপত্তার ফাঁকফোকরের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ না হওয়াতেই সমস্যা হচ্ছে। তবে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘লেডিস হস্টেলের সিকিউরিটি বাড়ানো হচ্ছে। পাঁচিলের কাঁটাতার আরও ঘন করা হবে।’ যদিও, বারবার নিরাপত্তা জোরদার করার আশ্বাস দেওয়া সত্বেও নিরাপত্তার এই গাফিলাতিতে অধ্যক্ষকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আবাসিক পড়ুয়ারা।