তনয়া পাঁজা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট। তিনি ৫ অক্টোবর থেকে অনশনে বসেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও তিনি হাসপাতালে ভর্তি হতে রাজি হননি। এ দিকে অনশনরত অবস্থায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো, অলোক কুমার ভার্মা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্যকে। স্নিগ্ধা হাজরা, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা-সহ অন্যান্য অনশনকারীর শারীরিক অবস্থা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা।
জুনিয়র ডাক্তারদের পক্ষ থেকে দেবাশিস হালদার বলেন, ‘অনশনকারীদের রক্তচাপ কমেছে। তাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা কম। তনয়ার মূত্রে কিটোনের মাত্রা অপেক্ষাকৃত বেশি। তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে সোমবার থেকে ‘আমরণ অনশন’-এ বসেছেন জুনিয়র ডাক্তার সন্দীপ মণ্ডল। তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ইএনটি (নাক-কান-গলা) বিভাগের পিজিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
আরজি করে জুনিয়র চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সুবিচার-সহ মোট ১০ দফা দাবিতে গত ৫ অক্টোবর পাঁচ জুনিয়র চিকিৎসক ধর্মতলায় অনশন শুরু করেন। তাঁরা হলেন তনয়া পাঁজা, স্নিগ্ধা হাজরা, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, পুলস্ত্য আচার্য, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়।
৬ অক্টোবর তাঁদের সঙ্গে অনশনে যোগ দেন উত্তরবঙ্গ ডেন্টাল কলেজের ইন্টার্ন সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসক অলোক বর্মা এবং আরজি করের জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। ১১ অক্টোবর অনশনে যোগ দেন আলোলিকা ঘড়ুই এবং পরিচয় পন্ডা।