মূল মঞ্চে প্রতিমা প্রদর্শনের পাশাপাশি পুজো কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক এবং সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। নিউ ব্যারাকপুর সম্মেলনি ক্লাব, বিড়া বল্লভপাড়া বারোয়ারি, শেঠপুকুর সর্বজনীন, হাবরার হিজলপুকুর-সহ অন্য পুজো কমিটির প্রতিমা নিয়ে ছিলেন। প্রতিমাগুলি যশোহর রোড ধরে শেঠপুকুর হয়ে এগিয়ে যায়। কার্নিভাল দেখতে যশোহর রোড এবং টাকি রোডের ধারে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন।
বহু মানুষ বাড়ি বা ফ্ল্যাটের ছাদে বসেও শোভাযাত্রা দেখেছেন। মূল মঞ্চের সামনে কয়েকটি জায়গায় জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থাও ছিল। কার্নিভালের জন্য বারাসতের ডাকবাংলো মোড়, যশোহর রোডের হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা এবং টাকি রোডের কাজিপাড়ার পর শহরমুখী কোনও গাড়ি ঢুকতে দেয়নি পুলিশ। ২০১৯ সালে শেষবার দুর্গাপুজোর কার্নিভাল হয়েছিল বনগাঁয়। পাঁচ বছর পর ফের কার্নিভাল দেখার সুযোগ পেলেন সীমান্ত শহরের বাসিন্দারা।
বনগাঁ-চাকদা রোডের শক্তিগড় কালীবাড়ি থেকে শুরু হয় শোভাযাত্রা। মূল মঞ্চ করা হয়েছিল বনগাঁ থানা সংলগ্ন ত্রিকোণ পার্কে। শোভাযাত্রা শেষে বনগাঁ থানা সংলগ্ন ইছামতীর ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করেছে বনগাঁ পুরসভা। এ দিনের কার্নিভালে হাজির ছিলেন পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, এসডিও উর্মি দে বিশ্বাস, পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ।
বসিরহাটেও নৈহাটি বিদ্যুৎ সঙ্ঘ, ১১ পল্লি, অনির্বাণ সঙ্ঘ, ধলতিথা নিউ স্মৃতি সঙ্ঘ, হরিশপুর নেতাজি সঙ্ঘ, জাতীয় পাঠাগার ব্যায়ামপীঠ, প্রান্তিক, প্রাণের পুজো-সহ ১২টি সর্বজনীন কার্নিভালে অংশ নেয়। এ দিন বিকেলে বসিরহাটের প্রান্তিক মাঠ থেকে কার্নিভাল শুরু হয়। শেষ হয় বোটঘাটে। উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাপরিষদের সহ সভাধিপতি বীণা মণ্ডল, বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়, মহকুমাশাসক আশিস কুমার, জেলা পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান, পুরপ্রধান অদিতি মিত্র। পুরুলিয়ার ছৌ, বাউল, ঝুমুর, লোকসংস্কৃতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয় বসিরহাটের কার্নিভালে।