টানা ৫ দিন ধরে চলে পুজো। পুজোকে কেন্দ্র করে ৭ দিন ধরে আয়োজন করা হয় নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ এখানকার জিলেপি। ২৫০ থেকে ৩০০ কুইন্টালেরও বেশি জিলেপি বিক্রি হয় এই অনুষ্ঠানে।
পুজোর কমিটির সম্পাদক ভুবন মণ্ডল বলেন, ‘বিষ্ণুপুরাণ মতে নারায়ণের দুই স্ত্রী লক্ষ্মী ও সরস্বতী। তাই আমরা একজনকে ছেড়ে কী ভাবে আরেকজনের পুজো করতে পারি। সে জন্যই আমাদের পূর্বপুরুষের শুরু করা লক্ষ্মী-সরস্বতীকে একসঙ্গে পুজো আজও আমরা করে চলেছি। এই বছর আমাদের পুজো ১৬২তম বর্ষে পদার্পণ করেছে।’
পুজোকে কেন্দ্র করে সাত দিন ধরে চলে নামী শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও যাত্রা। ১৬ অক্টোবর থেকে লক্ষ্মীপুজো শুরু হবে। চলবে ২০ই অক্টোবর পর্যন্ত। পুজোর ঘট উত্তোলনের সময় বিশেষ আতশবাজির ব্যবস্থা করে পুজো কমিটি। কিন্তু এ বছর গ্রিন আতশবাজি ব্যবস্থা করেছে তাঁরা।
পুজো প্রাঙ্গণে কেবলমাত্র একটি জিলাপির দোকান থাকে। নিলামের মাধ্যমে সেই দোকান নিতে হয় ব্যবসায়ীকে। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই বছর ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকায় হাড়দা গ্রামেরই এক ব্যক্তি দোকান দেবেন। চালগুড়ি দিয়ে তৈরি করা হয় এই সুস্বাদু জিলাপি। প্রতিবছর ২৫০ থেকে ৩০০ কুইন্টাল জিলাপি বিক্রি হয় এখানে। হাড়দা লক্ষ্মীপুজো দেখার জন্য ঝাড়গ্রাম জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলার বহু মানুষের সমাগম হয়।