Nadia Incident: দুই জেলায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন ২ জন – police recovered two bodies from nadia and dakshin dinajpur


এই সময়: নদিয়ার করিমপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হলেন দু’জন। একজন কৃষক, অন্যজন ব্যবসায়ী। সোমবার সকালে করিমপুরের কাঁঠালিয়া গ্রামে আজমত শেখ (৫০)-এর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া রাউতবাড়ি গ্রামে। কৃষ্ণনগর-করিমপুর বাস রাস্তার ধারে কাঁঠালিয়া-মহিষবাথানের মাঠের মধ্যে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।রবিবার বিকেলে কাঁঠালিয়ার একটি চায়ের দোকানে থাকার সময়ে ফোন এলে কথা বলতে বলতে উঠে গিয়েছিলেন আজমত। এরপর নিখোঁজ হন। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ বলেন, ‘খুনের কারণ স্পষ্ট নয়। নিহত ব্যক্তির পুরোনো রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

নিহত আজমতের ছেলে রাজীব শেখ বলেন, ‘রবিবার বিকেলে বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বের হয়ে কাঁঠালিয়া গ্রামে গিয়েছিলেন। পরে শুনেছি, ওখানে বাবার ফোনে একটা কল আসে। সেই নম্বরে কথা বলতে বলতে বাবা দোকান থেকে উঠে হাঁটতে শুরু করেন।’

অন্যদিকে, সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ বুনিয়াদপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের বাড়িতে খুন হন পেশায় সুদের কারবারি মিঠুন চক্রবর্তী (৩৮)। মৃতের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লুট করতে এসে বাধা পেয়ে না অন্য কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এ দিন পুলিশ কুকুর এনে তল্লাশি করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে সাদা গাড়িতে করে দুষ্কৃতীরা আসে। তারপরেই মিঠুনের রক্তাক্ত দেহ ঘরে পড়ে থাকতে দেখে পরিবার। তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল। মুখে সেলোটেপ লাগানো ছিল। ব্যবসায়িক কোনও লেনদেনের কারণে খুন হয়ে থাকতে পারেন বলে প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের অনুমান। জেলার পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, ‘কী কারণে খুন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *