কৃষ্ণনগরে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় গণধর্ষণের ধারা যুক্ত করল পুলিশ – krishnanagar police recover a teenage girl body and starts investigation


কৃষ্ণনগর শহরে এক তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধারের ঘটনায় খুনের পাশাপাশি গণধর্ষণের ধারাও যুক্ত করল পুলিশ। ঘটনায় সকালে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দু’জনকে প্রথমে আটক করা হয়। সন্ধ্যায় আরও একজন আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। খুনের মোটিভ কী ছিল, ধর্ষণের ঘটনায় কে কে জড়িত তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে শহরের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে পুলিশ স্পষ্ট করেছে, ধৃত যুবক তরুণীর পরিচিত ছিল। তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কি না তার তদন্ত হচ্ছে।বুধবার সকালে কৃষ্ণনগর শহরে এক তরুণীর অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ভোরের দিকে স্থানীয় বাসিন্দারা পুজো মণ্ডপের পাশেই ওই তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় প্রবল চাঞ্চল্য ছড়ায়। তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পরে খুন করা হয় মেয়েটিকে। তাঁকে যাতে কেউ চিনতে পারে তার জন্য পোড়ানোর চেষ্টা করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম রাহুল বসু। ‘নির্যাতিতা’-র মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে রাহুল ও তার সঙ্গীরা মিলে ধর্ষণের পরে খুন করে। অ্যাসিড দিয়ে মেয়েকে পুড়িয়ে মেরেছে। মেয়ে রাহুলের সঙ্গে পিৎজ়া খেতে বেরিয়েছিল। আমাকে বলে গিয়েছিল। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি।’

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার কে অমরনাথ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে। ফরেন্সিক দলও আমরা চেয়ে পাঠিয়েছি। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অ্যাসিড না অন্য রাসায়নিকের ব্যবহার করা হয়েছিল, তা জানতে ফরেন্সিক টিমের সাহায্য নেওয়া হবে।’

ঘটনায় খুন, গণধর্ষণ-সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মৃতের ফেসবুক পোস্ট ঘিরেও রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। যেখানে লেখা, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমি নিজেই দায়ী। তোমরা ভালো থেকো।’ পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তদন্তে এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কেন খুন? ঠিক কী ভাবে খুন করা হয়েছে? ধর্ষণই বা কোথায়, কখন হয়েছে? তা এখনও পরিষ্কার হয়নি। পুলিশ সুপার বলেন, ‘তদন্তের জন্য সময় দিতে হবে। অভিযোগের ভিত্তিতেই আমরা মামলা রুজু করেছি এবং একাধিক ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ঠিক কী হয়েছে তা জানতে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন। আমরা তদন্তের এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) মেনেই সব করছি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *