মাথায় চুল নেই, মাথায় টাকের জন্য শুনতে হয় টিপ্পনি। সমাজে অনেক সময় অপদস্ত হতে হয় তাঁদের। সেই মানুষদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হলো ক্যানিংয়ে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা।বিজয়া দশমীর জন্য ক্যানিংয়ের জীবনতলা বাজারে আয়োজন করা হয়েছিল এই বিশেষ অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানে কালিকাপুর ও মঠেরদীঘি পঞ্চায়েত এলাকার শতাধিক ‘টাক মাথা’র মানুষদের সংবর্ধনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হবে নতুন পাঞ্জাবী ও গোলাপ ফুল।
বিধায়ক শওকত মোল্লা জানান, ‘সবই ঈশ্বরের দান। এ নিয়ে হীনমন্যতা বা মন খারাপের কোনও বিষয় নেই। যাঁদের মাথায় চুল নেই তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হলো। আপাতত দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু হল এই কর্মসূচি।’
বিধায়ক শওকত মোল্লা জানান, ‘সবই ঈশ্বরের দান। এ নিয়ে হীনমন্যতা বা মন খারাপের কোনও বিষয় নেই। যাঁদের মাথায় চুল নেই তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হলো। আপাতত দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু হল এই কর্মসূচি।’
তিনি জানান, আগামী দিনে গোটা বিধানসভা এলাকা জুড়ে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। এই আয়োজনে খুশি এলাকার বাসিন্দারাও। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ জীবনে অনেক রকম তেল, ওষুধ মেখেছি। কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি। ৪০ বছরেই সব চুল উঠে যায়। আমাদের মনোবল ভেঙে গিয়েছে।’ বিধায়কের এই উদ্যোগে খুশি সকলেই। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লার উদ্যোগে ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার দুটি অঞ্চলের প্রায় ১০০ জন ‘টেকো’ মানুষকে একত্রিত করে একটি করে পাঞ্জাবি ও গোলাপ ফুল উপহার তুলে দেওয়া হয়।