Jharkhand Election,ভোটমুখী পড়শি ঝাড়খণ্ডের ময়দানে নামছেন অধীর, প্রতিপক্ষ কি শুভেন্দুও – adhir ranjan chowdhury opponent suvendu adhikari jharkhand election


এই সময়: বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ যাওয়ার পরে অধীর চৌধুরীকে এই প্রথম কোনও বড় দায়িত্ব দিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এআইসিসি মঙ্গলবার অধীরকে ভোটমুখী ঝাড়খণ্ডের অন্যতম প্রবীণ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছে।পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমেই যে কোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে রণকৌশল বাস্তবায়িত করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। প্রার্থী বাছাই থেকে জোট সমীকরণ কার্যকর করা— সব দায়িত্ব থাকে পর্যবেক্ষকদের কাঁধে। মঙ্গলবার জাতীয় নির্বাচন কমিশন ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করেছে। দু’দফায় আগামী ১৩ এবং ২০ নভেম্বর সেখানে ভোট। ফল প্রকাশ ২৩ নভেম্বর। যদিও এই ঘোষণার আগেই অধীর চৌধুরী, তারিখ আনওয়ার এবং বিভি মাল্লুকে ঝাড়খণ্ডের সিনিয়র পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেয় কংগ্রেস।

অতীতে দীপা দাশমুন্সিকে হিমাচল প্রদেশ, কেরালা, তেলঙ্গানার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছিল হাইকম্যান্ড। তিন জায়গাতেই সফল হয়েছিলেন দীপা। দীর্ঘদিন ধরে অধীর একাধারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা-সহ একাধিক দায়িত্বে থাকায় এআইসিসি তাঁকে কোনও রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়নি।

যদিও নির্বাচনী প্রচার করতে ভিন রাজ্যে গিয়েছেন তিনি। এ দিন অধীর বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাঁচিতে গিয়ে প্রথম বৈঠক করব। হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে কংগ্রেসের সুসম্পর্ক রয়েছে। ফলে নির্বাচনী সমঝোতায় সমস্যা হবে না।’ হরিয়ানা দখল করতে ব্যর্থ কংগ্রেস এখন জেএমএম-কে সঙ্গে নিয়ে ঝাড়খণ্ড ধরে রাখতে মরিয়া। অধীর-তারিখ আনোয়ারদের মতো পোড়খাওয়া নেতাদের পর্যবেক্ষক করা থেকেই তা স্পষ্ট।

অধীরের নয়া ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার বলেন, ‘অধীর চৌধুরীর বহু নির্বাচনে লড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ইউপিএ সরকারে মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে কাজ করেছেন। রাহুল গান্ধী তাঁকে পছন্দ করেন। অধীর চৌধুরীর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতেই তাঁকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছে হাইকম্যান্ড।’

নভেম্বরে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে ভোট, বাংলার ৬ বিধানসভা আসনেও উপ নির্বাচন

প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডে রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতাদের প্রচার-সূচির মতো বিভিন্ন গুরুদায়িত্ব সামলাতে হবে অধীরকে। সেখানে গেরুয়া শিবির ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীকে মাঠে নামিয়েছে। জেএমএম ছেড়ে চম্পই সোরেনের বিজেপি-তে যোগদানের নেপথ্যে শুভেন্দুরই ভূমিকা ছিল।

শুভেন্দু প্রাক নির্বাচনী সভাও করে এসেছেন। আগামী দিনে ফের প্রচারে যেতে পারেন। শুভেন্দুর সঙ্গে রয়েছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো হেভিওয়েট নেতাও। তাই ঝাড়খণ্ডে এনডিএ বনাম ইন্ডিয়া ব্লকের লড়াইয়ের পাশে অধীর বনাম শুভেন্দুর লড়াইও হতে চলেছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *