ইতিমধ্যেই কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ রাহুল ও তার মা-বাবাকে আটক করেছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নদিয়া উত্তর বিজেপির জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস। তিনিও অভিযোগ করেছেন, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ছাত্রীকে। কোতয়ালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ওই তরুণীর মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেই তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে লেখা হয়, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আমিই দায়ী। তোমরা সবাই ভালো থেকো।’ এই পোস্ট তরুণী করেছিল, নাকি তাঁর কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিয়ে অন্য কেউ করেছিল, সে ব্যাপারে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে, ছাত্রীর মা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। মেয়েকে রাহুল বসু ও তার বন্ধুবান্ধব মিলে ধর্ষণ করে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে খুন করেছে। শুধু তাই নয় মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে শ্বাসরোধ করা হয়েছে।’ মৃত ছাত্রীর পরিবার ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি করার দাবি করেছে। ইতিমধ্যেই কোতোয়ালি থানায় চলছে তিনজনের জিজ্ঞাসাবাদ। কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় পৌঁছেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। আজ বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ নির্যাতিতার বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসার কথা রয়েছে বিজেপি নেত্রীর লকেট চট্টোপাধ্যায়ের।