Purulia Police Station,পুরুলিয়ায় নদীর তীরে তরুণীর দেহ উদ্ধার, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ – purulia district police started investigation on recovered a body from river side


পুরুলিয়া জেলার বরাবাজার থানা এলাকায় নদীর তীরে তরুণীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। বুধবার সকালে কুমারী নদীর তীরে দেহটি উদ্ধার হয়েছে। এদিন সিন্দ্রী গ্রামে কুমারী নদীর ঘাটে রক্তের দাগ দেখতে পান কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। এরপর কিছুটা দূরেই নদীর ধারে বালি সরিয়ে একটি দেহ দেখতে পাওয়া যায়। আতঙ্কিত অবস্থায় অনেকেই চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেন। পরে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তরুণীর নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশের অনুমান, তাঁর বয়স ২০ থেকে ২৪ এর মধ্যে হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কূর্তি ও জিনস পরা অবস্থায় তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। তাঁর মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর পরিচয় জানার জন্য আশেপাশের থানায় ছবি পাঠিয়েছে পুলিশ। যোগাযোগ করা হচ্ছে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গেও। বরাবাজার থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না তা জানার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘খুনের আগে তরুণীর উপরে কোনও রকম শারীরিক নির্যাতন হয়েছিল কি না, তা ময়নাতদন্তের পরেই জানা যাবে।’

প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, তরুণী ওই এলাকার বাসিন্দা নন। জায়গাটি নির্জন। ফলে সেখানে যেকোনও অপরাধ ঘটনো সম্ভব। ঘটনাস্থল থেকে তসরবাঁকি বা ফতেপুরের মতো গ্রামও প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। এলাকার বাসিন্দা বিকাশ মাহাতো, অজয় মাহাতোরা বলেন, ‘ভোরের বেলা নদীর পাশে রক্তের দাগ দেখা যায়। পরে কিছুটা দূরেই খানিকটা চাপা দেওয়া অবস্থায় দেহ চোখে পড়ে। পুলিশে খবর দিলে তারা এসে দেহ উদ্ধার করে।’
তথ্য সহায়তায়: সঞ্চিতা মুখোপাধ্যায়



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *