Frankfurt Book Fair,ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় প্রধান বক্তা রূপনারায়ণপুরের ছাত্র দেবায়ন – asansol student debayan chatterjee to be main speaker at frankfurt book fair


বিশ্বদেব ভট্টাচার্য, আসানসোল
৭৬তম আন্তর্জাতিক ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা শুরু হয়ে গিয়েছে বুধবার থেকে। বইপ্রেমীদের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই মিলনমেলায় এ বার ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে থাকছেন আসানসোলের রূপনারায়ণপুর ডিএভি স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র দেবায়ন চট্টোপাধ্যায়। গত দু’বছর ধরে জার্মানির পোস্টড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জিওফিজ়িক্স নিয়ে গবেষণা করছেন দেবায়ন।১৮ অক্টোবর, শুক্রবার ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় ইন্ডিয়া ন্যাশনাল স্ট্যান্ডে দেবায়ন প্রধান বক্তা এবং অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। প্রবাসী ভারতীয়দের জার্মানিতে থাকার অভিজ্ঞতা এবং সে দেশের শিল্প, বিজ্ঞান, সংস্কৃতিতে প্রবাসী ভারতীয়দের অবদান নিয়ে বক্তব্য পেশ করবেন আইআইটি খড়্গপুরের প্রাক্তনী দেবায়ন।

লেখক, গবেষক তথা অধ্যাপক অনাথবন্ধু চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে দেবায়ন রূপনারায়ণপুর ডিএভি স্কুল থেকে পাশ করার পর স্নাতকস্তরের পড়াশোনা করেন রাঁচির সেন্ট জ়েভিয়ার্স কলেজ থেকে। এর পর খড়্গপুর আইআইটি-তে এমএসসি নিয়ে পড়াশোনা শেষে গবেষণার জন্য হায়দরাবাদে ন্যাশনাল জিওফিজ়িক্স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে সুযোগ পান।

সেখানে এক বছর পার করার আগেই জার্মানির পোস্টড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর বুক হেগেনের বিশেষ আমন্ত্রণে উচ্চতর ডিগ্রি ও জিওফিজ়িক্স নিয়ে গবেষণার জন্য সে দেশে চলে যান। সম্প্রতি ভারত সরকারের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রকের অধীন ন্যাশনাল বুক ট্রাস্টের প্রধান সম্পাদক তথা ডিরেক্টর কুমার গৌতমের তরফে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন দেবায়ন।

তাতে জানানো হয়েছে, ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় ‘উই দ্য পিপল অফ ইন্ডিয়া’ শীর্ষক বক্তব্য-সভার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে ১৮ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত (ভারতীয় সময় দুপুর আড়াইটে থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত) যে অধিবেশন চলবে তাতে প্রধান বক্তা এবং সঞ্চালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেবায়নকে।

এমন গুরুদায়িত্ব যাঁর কাঁধে সেই দেবায়ন বুধবার জার্মানির পোস্টড্যাম থেকে বলেন, ‘রূপনারায়ণপুরের মতো পঞ্চায়েত এলাকা থেকে উঠে এসে জার্মানিতে মাতৃভূমির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। এই পোস্টড্যাম শহরেই বাস করতেন আইনস্টাইন। সেই বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দু’বার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সৈয়দ মুজতবা আলির মতো বাংলা সাহিত্যের অগ্রদূতরা বারবার জার্মানিতে এসেছেন জানিয়ে তরুণ এই গবেষক বলেন, ‘জার্মান সাহিত্যের সঙ্গে ভারতীয় সাহিত্য, বিজ্ঞানের কোথায় মিল রয়েছে তাও আমি উল্লেখ করব আমার বক্তব্যে। বলব শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের কথা। জার্মানিতে ভারতীয় ছাত্রছাত্রী বা গবেষকরা কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তাও আলোচিত হবে।’ তাঁর স্কুল ডিএভি রূপনারায়ণপুরের বর্তমান অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদার বলেন, ‘ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবেন স্কুলেরই প্রাক্তন ছাত্র। এর চেয়ে গর্বের ও আনন্দের আর কীই বা হতে পারে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *