কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর — কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনের এই ২৯ কিলোমিটার বিস্তারের পথে বাধা ছিল রুটের বিভিন্ন জায়গায় তৈরি আটটি বহুতল। এর মধ্যে সাতটি বহুতলের বাসিন্দাদের ক্ষতিপূর্ণ দিয়ে সেই বাড়িগুলো খালি করানোর পর বাড়িগুলো ভেঙে মেট্রোর জন্য প্রয়োজনীয় নির্মাণ শুরু হয়। সাতটি বাড়ি এমন ভাবে ভাঙা গেলেও ক্যাপ্টেনের ভেড়ির বিপরীতের বহুতলের বাসিন্দাদের সহজে বাড়ি ছাড়ার জন্য রাজি করানো যাচ্ছিল না। অবশেষে কাটল সেই বাধা।
কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইন নির্মাণের ভার দেওয়া হয়েছে আরভিএনএল-এর ওপর। ইতিমধ্যেই অরেঞ্জ লাইনের কবি সুভাষ থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত অংশে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণ শুরু হয়ে গিয়েছে। রুবি থেকে মেট্রোপলিটন মোড় পর্যন্ত অংশও কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির (সিআরএস) অনুমোদন পেয়েছে। তবে এই রুটেরই বিভিন্ন অংশে বিক্ষিপ্ত ভাবে কাজ এগোচ্ছে। এর মধ্যে মেট্রোপলিটন থেকে সেক্টর-ফাইভ পর্যন্ত অংশের কাজ এগোচ্ছিল না ওই বহুতলের জন্যই।
আরভিএনএল-এর প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, ‘এ বার পিয়ার নং ৩১০ থেকে ৩২৯ পর্যন্ত অংশে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ভায়াডাক্ট তৈরি করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে পিয়ার ৩১০ থেকে ৩১৭ পর্যন্ত অংশ চিংড়িহাটা ফ্লাইওভারকে অর্ধচন্দ্রাকারে বেষ্টন করে এগোবে।’
আরভিএনএল-সূত্রে জানা গিয়েছে, এই এলাকার আটটি বাড়ির মধ্যে সাতটি বাড়ি ছিল দোতলা। একটি মাত্র বাড়ি চারতলা। সেই বাড়ি ভাঙার অনুমতি নিয়েই সমস্যা হলো। তবে অরেঞ্জ লাইনে মেট্রোর কাজের জন্য এই প্রথম যে বাড়ি ভাঙা হলো, তা নয়। ২০১৮ সালে নিউটাউনে অরেঞ্জ লাইনের কাজের জন্য সাতটি বহুতল ভাঙতে হয়েছিল।