Bardhaman Medical College: সুপ্রিম পর্যবেক্ষণে বর্ধমান মেডিক্যালে সরলো সিভিক – bardhaman district police withdrawn all civic volunteers from medical college and hospital


এই সময়, বর্ধমান: আরজি করে চিকিৎসক-ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষণের মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ হাসপাতাল এবং স্কুলের মতো সং‌বেদনশীল জায়গায় সিভিক বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকারের আইনজীবীকে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ।আর তার পরেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ার প্রত্যাহার করে নিল জেলা পুলিশ। সূত্রের খবর, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থাকা ৩০ জন ও মেডিক্যাল কলেজে থাকা ১০ জন সিভিককে সরিয়ে সেখানে পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছে। কাটোয়া ও কালনা মহকুমা হাসপাতাল দু’টির ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে জেলা পুলিশ সূত্রে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের পরেই আমরা মেডিক্যাল কলেজ-সহ অন্যান্য সমস্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের সরিয়ে নিয়েছি। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বর্ধমান থানার অধীনে থাকা পুলিশ ক্যাম্পে এই মুহূর্তে ২২ জন পুলিশকর্মী ছাড়াও দু’জন অফিসারকে রাখা হয়েছে। পরে প্রয়োজনে এই সংখ্যার পরিবর্তন করা হবে। একইসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজেও সিভিক ভলান্টিয়ার সরিয়ে পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।’

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার অন্যান্য ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালগুলির পাশাপাশি মহকুমা স্তরের হাসপাতালগুলি থেকেও সিভিক ভলান্টিয়ারদের সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘প্রাথমিক ভাবে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে নির্দেশ এসেছে, কোনও সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে আর সিভিক ভলান্টিয়ার রাখা যাবে না। সেখানে পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করা হবে। তবে এক জায়গায় যত সংখ্যায় সিভিক ভলান্টিয়ার দেওয়া সম্ভব ততটা পুলিশকর্মী মোতায়েন করা সম্ভব নয়। এখন সরকার পরবর্তী কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।’

সিভিক প্রত্যাহার শুরু আরজি কর-সহ সব সরকারি হাসপাতালে
বর্ধমান দক্ষিণের এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, ‘মেমারি, জামালপুর, রায়না-সহ দক্ষিণ মহকুমার সমস্ত সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুলিশকর্মীদের পাঠানো হয়েছে। কোথাও কোনও সিভিক ভলান্টিয়ার আর নেই।’

এর আগেই কলকাতা হাইকোর্টে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি এখনও বিচারাধীন। মঙ্গলবার আরজি কর মামলার ষষ্ঠ শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করেছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের হাসপাতাল বা স্কুলে মোতায়েন করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

এমনকী প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এমনও মন্তব্য করেছেন যে, রাজ্য সরকারের হলফনামা পাওয়ার পর সিভিক ভলান্টিয়ারের বিষয়টি নিয়ে তাঁরা গভীর ভাবে খতিয়ে দেখবেন। আর এর পরেই সমস্ত সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও স্কুল থেকে সিভিক সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *