Park Street Police Station,ডিউটি করে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে চান পার্ক স্ট্রিট থানার মহিলা সিভিক – park street police station female civic volunteer join her work


এই সময়: কাজ ছাড়তে চান না তিনি। বরং ডিউটি করতে করতেই আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে চান পার্ক স্ট্রিটের সেই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার। ইতিমধ্যেই পার্ক স্ট্রিট থানায় কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। তবে, আর রাতের ডিউটি নয়। তার পরিবর্তে ওই মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে দিনের বেলায় থানায় ডিউটি দেওয়া হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। আগের মতোই তিনি কম্পিউটার সেলে ডিউটি করছেন।এর পাশাপাশি তিনি অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারেরা বিরুদ্ধে আইন লড়াইয়ের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। পুজোর ছুটির পর কলকাতা হাইকোর্ট চালু হলে জামিনের বিরোধীয়া মামলায় দায়ের করবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। স্নাতক পাস ওই নির্যাতিতা পার্ক স্ট্রিট থানায় কম্পিউটার সেলে কাজ করতেন।

অভিযোগ ওঠে, থানার সাব ইনস্পেক্টর অভিষেক রায় পুজোর জামা দেওয়ার নাম করে, তাঁর শ্লীলতাহানি করেন। ঘটনার দিন রাত ১টার সময়ে থানার বিশ্রামকক্ষে তাঁকে ডাকা হয়েছিল। এর পর সেখানে মদ্যপ অবস্থায় শারীরিক নিগ্রহ করা হয়। ওই মহিলার পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার পর, প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয়েছিল।

এমনকী, বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ারও পরামর্শ দেন। পরে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হলেও, তিনি জামিন পেয়ে যান। থানার ভিতরে এমন অপরাধ ঘটিয়ে কী ভাবে জামিন পেয়ে গেলেন ওই পুলিশ অফিসার? তা নিয়ে সরব হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার।

পার্ক স্ট্রিটে সিভিককে হেনস্থায় ধৃত এসআই, ২৪ ঘণ্টায় জামিনও! হাইকোর্টে নির্যাতিতা

এ বিষয়ে তরুণীর এক মামা বলেন, ‘মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ভাগ্নি। সেই ট্রমা কাটিয়ে সদ্য কাজে যোগ দিয়েছে ও। কাজ ছাড়তে নয়। ডিউটি করতে চায় ও। পাশাপাশি দোষী পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধেও আইনি লড়াইও চালিয়ে যেতে চাইছে। আমার সব রকমের সাহায্য করব। আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলছি। কঠোর শাস্তি পাওয়া উচিত ছিল। আদালতে পেশ করতেই কেন জামিন পেয়ে গেলেন ওই অফিসার? কেস কী ঠিক ভাবে লেখা হয়েছিল?’

লালবাজার সূত্রে খবর, দোষী পুলিশ অফিসারেরা বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। আপাতত তিনি ‘ক্লোজ়ড’ রয়েছেন। যদিও পুলিশের এই পদক্ষেপে সন্তুষ্ট নন নির্যাচিতিতার পরিবার



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *