মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্য সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের পাশাপাশি আরজি কর নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টও বারবার জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারের বার্তা দিয়েছিল। প্রথমে আংশিক, পরে পূর্ণ কর্মবিরতি প্রত্যাহার হলেও জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে কয়েকজন প্রতিনিধি ধর্মতলায় আমরণ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বিভিন্ন মহল থেকে অনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ করা হলেও তা থেকে সরে আসেননি তাঁরা।
এর মধ্যেই এ দিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সিনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তারপরে রাতে আন্দোলনকারীদের তরফে দেবাশিস হালদার বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সোমবারের মধ্যে যদি মানবিক মুখ্যমন্ত্রী আমাদের দাবিগুলি বিবেচনা করে মেনে না নেন, তা হলে রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে সর্বাত্মক ধর্মঘটের দিকে যেতে বাধ্য হব। সেই আন্দোলনে রাজ্যের সিনিয়র চিকিৎসকেরাও থাকবেন।’
সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা কালীপুজোর পরে। তার আগে ডাক্তাররা সর্বাত্মক ধর্মঘটে গেলে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করে, সে দিকে নজর রয়েছে সব পক্ষের। রাতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এখনও এই ব্যাপারে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। পুরো বিষয়টা জানানো হলে মন্তব্য করতে পারব।’