শিয়ালদহ ESI হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসাধীন উত্তম বর্ধনের। পরিবারের অভিযোগ, ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার বাসিন্দার।ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন উত্তম বর্ধন। চিকিৎসা চলছিল তাঁর। ক্যান্সারে কষ্ট পাচ্ছিলেন ঠিকই কিন্তু এভাবে তাঁর প্রাণ চলে যাবে তা ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি পরিবার। ভিনরাজ্য গিয়ে চিকিৎসা করানোর পরে শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে গিয়েছিল উত্তম বর্ধনের। চিকিৎসার জন্য তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে। পরিবার জানায়, শীঘ্রই তাঁকে ছুটি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন সেখানকার ডাক্তাররা। কিন্তু আর বাড়ি ফেরা হল না বছর ৪৭-এর উত্তম বর্ধনের।
এ দিন ভোরে শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালে আগুন লাগে। প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয় কিন্তু কয়েক মুহূর্তেই বিধ্বংসী আকার ধারণ করে আগুন। খবর দেওয়া হয় দমকলে। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন কাজে লাগিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। হাসপাতালে থাকা প্রায় ৮০ জন রোগীকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলেও, ২ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় উত্তম বর্ধনের।
বাড়িতে এই মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই শোকের ছায়া এলাকায়। গাইঘাটায় উত্তম বর্ধনের পৈতৃক বাড়ি। তাঁরা পাঁচ ভাই। ওই বাড়িতে অন্য সদস্যরা থাকেন। একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন উত্তম। তাঁর এক মেয়েও রয়েছে। তাঁরা চিকিৎসার জন্য এখন গাইঘাটার বাড়িতে থাকছিলেন না।