রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেন, ‘সরকারি হাসপাতাল পরিষেবা না দিলে মানুষ কোথায় যাবে! দিদি হিসেবে বলছি, অনশন প্রত্যাহার করুন।’ এ দিন অনশনকারীদের ১০ দফা দাবি ফোনেই শুনতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতির দায় নিয়ে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমকে পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘একটা পরিবার থেকে কি সকলকে কি সরানো যায়?’
রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় ভাবে ‘রেফারেল’ ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পাইলট প্রজেক্ট চালু হয়েছে। তা কেন্দ্রীয়ভাবে চালুর বিষয়টি দেখা হচ্ছে।’ রাজ্যের হাসপাতালগুলিতে কতগুলি বেড ফাঁকা রয়েছে তার উপর ডিজিটাল সিস্টেমের মাধ্যমে মনিটর করার আবেদন জানিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই প্রক্রিয়া প্রসেসের মধ্যে রয়েছে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অন্যতম দাবি ছিল, সরকারি হাসপাতালে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। সিভিক ভলান্টিয়ারের বদলে পুলিশকর্মীদের মোতায়েন করতে হবে। নারী সুরক্ষার জন্য মহিলা পুলিশকর্মীদেরও রাখতে হবে। এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন আন্দোলনকারীদের বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা চলায় আইনি জটিলতার কারণে পুলিশে নিয়োগ আটকে রয়েছে। আমরা ৬ হাজার নিয়োগ পুলিশে করতে পারি। কিন্তু বিষয়টি বিচারাধীন।’
সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন দেখার, মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পর কি অনশন প্রত্যাহার করবেন চিকিৎসকরা?