সুন্দরবন দুগ্ধ সময়বায়ের ‘সুন্দরিনী ন্যাচারালস’ ব্র্যান্ড’ ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্তরে স্বীকৃতি পেয়েছে। এর নামকরণ করেছিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুন্দরবনের মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য এই উদ্যোগকে ঢেলে সাজায় মমতা সরকার।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে সুন্দরবনের নামখানা, পাথরপ্রতিমা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকা থেকে খাঁটি গোরুর দুধ সংগ্রহ করে তা নির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে বোতলে ভরে বিক্রি করা হয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এই দুধে জল মেশানো যাতে না হয় তা দেখার জন্য রয়েছে একধরনের বিশেষ যন্ত্র। ফলে দুধের গুণগত মান খারাপ হলে তা নেওয়া হয় না। খাঁটি দুধ পৌঁছে দেওয়া যায় সাধারণ মানুষের কাছে। অন্যদিকে, সুন্দরবনের মহিলারাও এই প্রকল্পের ফলে উপকৃত হয়েছেন। দুধের বিনিময়ে সরাসরি টাকা জমা পড়ে তাঁদের অ্যাকাউন্টে। এ বার এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক স্তরেও স্বীকৃতি পেল।
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ‘বহু মহিলা এই উদ্যোগে উপকৃত হচ্ছেন। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার অনেকেই পশুপালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁরা এখন সেই দুধ বিক্রি করতে পারছেন ন্যায্য দামে। দমদম বিমানবন্দর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক অফিসের কাছে সুন্দরিনীর স্টল রয়েছে। বিপণন কেন্দ্রের সংখ্যা রাজ্য জুড়ে ১০০-র কাছাকাছি। সুন্দরিনী প্রকল্পের আওতায় সংগ্রহ করা মধু, সুগন্ধী চাল, বিভিন্ন মিষ্টি আন্তর্জাতিক স্তরে পাঠানো হচ্ছে।’
২০১৮ সালে বিশুদ্ধ দুধ উৎপাদনে দেশের সেরার শিরোপা পেয়েছিল বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা রাষ্ট্রীয় দুগ্ধ উন্নয়ন পর্ষদ সেরার শিরোপা দিয়েছিল সুন্দরবন দুগ্ধ ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদক সমবায় সঙ্ঘ লিমিটেডকে।
রাজ্যের প্রাণী সম্পদ দপ্তরের আওতাভুক্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরিনী দুগ্ধ সমবায়-এর সঙ্গে যুক্ত ৪ হাজার ৫০০ মহিলা। সেখানে প্রতিদিন ২ হাজার লিটার দুধ তৈরি হয় এবং দৈনিক দুগ্ধজাত দ্রব্য তৈরি হয় ২৫০ কেজি। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ‘সুন্দরীনি’-র আয় ছিল ৪ কোটি টাকা।