এই উপনির্বাচনে ৬-০ ফলাফল করতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশে তাঁরা কলকাতায় এসেছেন, তা অস্বীকার করেননি গঙ্গাপ্রসাদ। তিনি বলেন, ‘দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তলবে প্রকাশকে নিয়ে কলকাতায় এসেছি। কে প্রার্থী হবেন, তা ঠিক করবেন দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। তবে যে কোনও মূল্যেই আমরা মাদারিহাট আসনটি জিততে চাই।’ যদিও বিজেপি জমি ছাড়তে নারাজ। মনোজ টিগ্গার বক্তব্য, ‘মাদারিহাটে প্রার্থী দেখে ভোট হয় না। এখানকার মানুষ পদ্মফুল প্রতীক আর বিজেপিতে আস্থাবান। সেই কারণে ফলাফল যা হওয়ার তা-ই হবে।’
তৃণমূল কবে উপনির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ছ’টি বিধানসভার বিভিন্ন সমীকরণ মাথায় রেখে প্রার্থী বাছাই করা হচ্ছে বলে তৃণমূলের একাধিক নেতার বক্তব্য। একটি ভোটকুশলী সংস্থার সমীক্ষার আভাসও তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে যায়। ছ’টি কেন্দ্রের মধ্যে মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে সুজয় হাজরাকে প্রার্থী করা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে আলোচনা হয়েছে বলে দলের একাংশের বক্তব্য।
উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা এক যুব নেতার নাম চর্চায় রয়েছে। এ ছাড়া অতীতে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে থাকা দুই তৃণমূল নেতার নাম নিয়ে জেলা তৃণমূলের অভ্যন্তরে চর্চা চলছে। হাড়োয়া কেন্দ্রে প্রয়াত হাজি নুরুলের পরিবারের কোনও সদস্য টিকিট পেতে পারেন বলে জেলা তৃণমূলের একাংশের পর্যবেক্ষণ। যদিও তৃণমূলের অধিকাংশ নেতার সাফ কথা, যতই জল্পনা হোক-না কেন, শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।