তাঁকে সংবর্ধনা জানানোর সময়ে উপস্থিত বিজেপি সমর্থকেরা ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেন। তবে শিলিগুড়ির মেয়র বিজেপি সমর্থকদের এই আচরণকে কার্যত উপেক্ষা করেন। তবে নিজের বক্তব্য পেশ করার সময়ে শিলিগুড়ির মেয়র বলেন, ‘রাজ্য সরকার জমি দিয়েছিল বলেই বাগডোগরা বিমান বন্দরের সম্প্রসারণ প্রকল্পের শিলান্যাস সম্ভব হলো।’
এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে ১০৫ একর জমি দেয়। তার আগে বাগডোগরায় রাতে বিমান ওঠানামার পরিকাঠামো তৈরির জন্যও প্রায় ২৮ একর জমি দেয়। অনুষ্ঠানে মেয়রের পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাল্টা উত্তর দেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রীও। তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার জমি দিলে বাংলায় আরও বিমানবন্দর তৈরি করে দেবে কেন্দ্র।’
গত কয়েক বছর ধরেই বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ নিয়ে তোড়জোড় চলছে। কেননা, গত এক দশকে বাগডোগরা বিমান বন্দরের বার্ষিক যাত্রী সংখ্যা বেড়ে প্রায় ত্রিশ লক্ষ ছাড়িয়েছে। ৩০টি বেশি বিমান প্রতিদিন ওঠানামা করে। যাত্রী ভিড় সামাল দিতেই ঠিক হয়েছে, প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাগডোগরা বিমান বন্দরে সম্পূর্ণ নতুন একটি টার্মিনাল তৈরি হবে। দু’টি পর্যায়ে এই কাজ হবে।
প্রায় এক লক্ষ স্কোয়ার মিটার এলাকা জুড়ে দুটি পর্যায়ে টার্মিনাল তৈরি হবে। একটি দেশীয় বিমানের যাত্রীদের জন্য। অন্যটি হবে আন্তর্জাতিক। যাত্রীরা যাতে বিমান বন্দর এলাকাতেই রাত কাটাতে পারেন সে জন্য তৈরি করা হবে আধুনিক হোটেল, কার পার্কিং-সহ নানা সুবিধে। পুরো বিমানবন্দরটি সৌরবিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত হবে।
দার্জিলিংয়ের সাংসদের দাবি, ‘এই এলাকার অবস্থানগত গুরুত্ব এবং পর্যটনের বিকাশের কথা মাথায় রেখেই প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাকিগুলিও দ্রুত শুরু হবে।’