উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড লাগানো গাড়ি ব্যবহার করে গাঁজা পাচারের চেষ্টা। হাতেনাতে ধরা পড়ল এক ব্যক্তি। গাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে এক কুইন্টাল গাঁজা উদ্ধার করেছে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। রবিবার সকালে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তালাইয়ের মোড় থেকে গাড়িকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছ গাড়ি চালক অনিল চন্দ্র দে। কোচবিহারের বাসিন্দা সে। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড কী ভাবে ব্যবহার হলো, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় ধৃত দাবি করেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে ব্যবহারের জন্য গাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয় মাঝে মধ্যে। সে বোর্ডটি সরাতে ভুলে গিয়েছিল। কোচবিহার থেকে এই বিপুল পরিমাণে গাঁজা তোলা হয়েছিল বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে চালক। বারাসত বা দমদমে এই গাঁজার হাত বদল হতো বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
গাঁজা পাচারের নেপথ্যে কোনও চক্র কাজ করছে কি না? কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত? এই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া গাঁজার দাম কয়েক লক্ষ টাকা। উত্তরবঙ্গ থেকে গোপনে নদিয়া, কলকাতাতে প্রচুর গাঁজা পাঠানো হচ্ছে, গোপন সূত্রে এমনটাও জানতে পারে পুলিশ। এরপরেই নজরদারি আরও বাড়ানো হয়।
গাঁজা পাচারের নেপথ্যে কোনও চক্র কাজ করছে কি না? কে বা কারা এই ঘটনায় জড়িত? এই সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া গাঁজার দাম কয়েক লক্ষ টাকা। উত্তরবঙ্গ থেকে গোপনে নদিয়া, কলকাতাতে প্রচুর গাঁজা পাঠানো হচ্ছে, গোপন সূত্রে এমনটাও জানতে পারে পুলিশ। এরপরেই নজরদারি আরও বাড়ানো হয়।
প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ের নেমপ্লেট ব্যবহার করা হয়েছিল। গাড়ির উইন্ড স্কিনে সেই বোর্ড ঝুলিয়ে চলছিল গাঁজা পাচার। কিন্তু এ বার আগে থেকেই খবর এসে পৌঁছয় পুলিশের কাছে। সেইমতো জাতীয় সড়কে নাকা চেকিংআরও জোরদার করা হয়। এ দিন সকালে নির্দিষ্ট নম্বরের গাড়িটিকে নাকা চেকিং পয়েন্টে থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। সেই সময় গাড়ির সিটের নীচে লুকিয়ে রাখা গাঁজা নজরে আসে পুলিশকর্মীদের।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘এই চক্রে আর কারা জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাড়িটির আদৌ কোনও যোগ রয়েছে কি না তাও তদন্ত করে দেখা হবে।’