এই পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী এলাকায় সব বিডিও ও এসডিওদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। আগে থেকেই উপকূল এলাকায় মজুত করা হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী। কড়া নজর রাখা হবে উপকূলবর্তী এলাকার বাঁধগুলিতেও।
মৎস্যজীবীরা যাতে গভীর সমুদ্রে না যান তারজন্য মাইকিং করে প্রচার চলছে। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা ও মন্দারমনি অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। সপ্তাহান্তে এমনিতেই ভিড় হয় এখানে। তার উপর রয়েছে কালীপুজো-দীপাবলির ছুটিও। কিন্তু আবহাওয়ার কথা ভেবে এই এলাকায় পর্যটকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে কি না তা ভেবে দেখা হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন, এখন সবদিক থেকেই ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে জেলা প্রশাসন।
পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও বাংলায় আরও একটি জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও বিস্তীর্ণ উপকূল এলাকা রয়েছে। এই জেলার নামখানা, সাগর, পাথরপ্রতিমা, বকখালি-সহ উপকূলবর্তী নানা এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, জেলা প্রশাসন ও ব্লক স্তরের প্রশাসনের সঙ্গে পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের বৈঠক হয়েছে। সুন্দরবন এলাকার ফ্লাড সেন্টারগুলোকে তৈরি রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কাকদ্বীপে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। শেষপর্যন্ত বাংলার উপকূলেই আছড়ে পড়বে ‘দানা’ না কি অন্যত্র ঘুরে যাবে এর মুখ, তার জন্য অপেক্ষা আর কিছুদিনের।
তথ্য সহায়তা: তথাগত চক্রবর্তী, রঞ্জন মাইতি