দরিয়াপুরের ডোকরা, বামনিয়ার ছৌ, মাজরামুরার সাঁওতাল পটচিত্রের মতোই নতুনগ্রামের কাঠপুতুলের সুনাম রয়েছে। এমন অনুষ্ঠানের আগে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সেরে নিচ্ছেন নতুনগ্রামের কাঠপুতুল শিল্পীরা। দক্ষিণবঙ্গের বাছাই করা ১৬টি গ্রামে দু’দফায় সেখানকার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঙ্গে উৎসাহীদের পরিচয় ঘটবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
এক্সপ্লোর রুরাল বেঙ্গল ডট কম নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে হয়েছে যেখানে দেওয়া রয়েছে সব তথ্য। ওই সমস্ত গ্রামগুলোর নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন কী, কী ভাবে সেখানে পৌঁছতে হবে, দেওয়া রয়েছে তার মানচিত্র। এই সব গ্রামের কাছাকাছি রাত্রিযাপনের তালিকাও আছে।
নতুনগ্রামকে উল্লেখ করা হয়েছে কাঠপুতুলের ওয়ান্ডারল্যান্ড হিসেবে। তিন দিনের এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে নতুনগ্রামের শিল্পীদের। শিল্পী গৌরাঙ্গ ভাস্কর বলেন, ‘এলাকার শিল্প প্রদর্শনী, শিল্পীদের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি পুতুল বিক্রিও হবে তিন দিনে। এ বার পুজোয় সে ভাবে বরাত মেলেনি। বেচাকেনাও সে ভাবে নেই। গ্রামে একটা মেলা হচ্ছিল কয়েক বছর ধরে। এ বার সেটাও হয়নি। তাই এই তিন দিনে যদি কিছুটা বিক্রিবাটা হয় সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছি।’
শিল্পী উত্তম ভাস্কর বলেন, ‘এখানে পর্যটকরা এসে থাকতে পারবেন। শিল্পীদের জীবনযাত্রা ও কী ভাবে তাঁরা পুতুল তৈরি করেন সেটা প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। আবার পছন্দের পুতুল কিনেও নিয়ে যেতে পারবেন। ওঁরা যে ভাবে ব্যবস্থা করছেন তাতে পর্যটকরা সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন গ্রামে।’