মাত্র দশ মিনিটের ব্যবধান! দেখা হলো না কেষ্ট-কাজলের – tmc leader anubrata mondal and kajal sheikh are not seen on the same stage in birbhum


এই সময়, সিউড়ি: পাঁচ দিনে দশটির বেশি সভা হয়েছে বীরভূমে। তবু একই মঞ্চে দেখা যায়নি অনুব্রত ও কাজলকে। সোমবার বীরভূমের পুরন্দরপুরে দলের বিজয়া সম্মিলনী মঞ্চে দু’জনের সাক্ষাৎ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বক্তব্য রেখে বের হয়ে যাওয়ার দশ মিনিট পরে ওই মঞ্চে এসে পৌঁছন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ।তবে কি ইচ্ছে করে ‘গুরু’কে এড়িয়ে গিয়েছেন কাজল, জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে৷ কারণ একজন যেখানে থাকছেন, অন্যজন সেখানে যাচ্ছেন না। এমনই দৃশ্য চলছে অনুব্রতের জেল থেকে জেলায় ফেরার পর থেকে। তিনি যতদিন জেলায় ছিলেন না, ততদিন কোর কমিটির হাল ধরেছিলেন কাজল। এখনও সেই কোর কমিটি রয়েছে।

১৯ অক্টোবর নানুরে বিজয়া সম্মিলনী শুরু করেন কাজল। সেখানে অনুব্রতর চেয়ার শূন্য থাকতে দেখা যায়৷ এ দিন সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের পুরন্দরপুরে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে এসে বক্তব্য রাখেন অনুব্রত। থাকার কথা ছিল কাজলেরও। তিনি মঞ্চে এলেন বটে তবে কেষ্টর বেরিয়ে যাওয়ার ১০ মিনিট পরে। কাজল বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল এসেছিলেন৷ আমার আসতে একটু দেরি হয়েছে। তিনি অন্য একটি বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়েছেন৷ রাজ্যের নির্দেশ মতো দলের আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্যকে নিয়ে এসেছি।’

তাঁর সংযোজন, ‘আগে এমন হয়েছে কী হয়নি, আমি বলতে পারব না। আমাদের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী। তিনি যেখানে যেতে বলেন, আমি সেখানেই যাই৷ বাকি প্রশ্ন তাঁকে করুন।’ যদিও বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘এই নিয়ে দলে কোনও অশান্তি নেই। দলের নির্দেশ মতো সবাই কাজ করছেন।’

গোরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের অগস্টে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত। প্রায় ২ বছর জেলে থাকার পরে কিছুদিন আগে জামিন পেয়েছেন তিনি। অনুব্রত জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে দুই নেতার ঠান্ডা লড়াই কি বাড়ছে? এ দিন অবশ্য জেলা সভাপতির পদ ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন অনুব্রত। তবে এখনই নয়। ২০২৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখার পরে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির পদ ছাড়বেন তিনি। সোমবার সিউড়ির ২ ব্লকের পুরন্দরপুরে বান্ধব সমিতির মাঠে সভায় হাজির ছিলেন কেষ্ট।

ওই এলাকার ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম নিজেই ওই পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য জেলা নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত বলেন, ‘নুরুল খুব ভালো ছেলে। আমরা একসঙ্গে রাজনীতি শুরু করেছিলাম। এখনই পদ না ছাড়ার জন্য নুরুলকে বলেছি। আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়ার পরে দাদা-ভাই মিলে একসঙ্গে পদ ছাড়ব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *