দীর্ঘ প্রায় ২ ঘণ্টার বৈঠক শেষে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের একটা শুরু যেমন আছে, তেমন শেষও আছে। এ বার অনশন তুলে নিন।’ এই আলোচনার মাঝেই মুখ্যমন্ত্রীকে এক মহিলা জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, ‘আপনার থেকেই আমাদের আন্দোলন করা শেখা।’জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের মাঝেই নিজের রাজনৈতিক জীবনের অনশন, আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা জানান, তিনি যখন অনশন করেছেন, প্রশাসনের তরফে কেউ আসেনি। তাঁর কথায়, ‘মানবাধিকার কমিশনের দাবিতে ২১ দিন ধর্না করেছিলাম। সিঙ্গুর নিয়ে ২৬ দিন অনশন করেছি। কেউ আসেনি। গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর (তৎকালীন রাজ্যপাল) ব্যক্তিগতভাবে আমায় ভালোবাসতেন বলে এসেছিলেন। তিনি সরকারের কেউ ছিলেন না। তোমাদের ভালোবাসি। সেই কারণেই আলোচনায় খোলাখুলি করা হচ্ছে।’
মমতা আরও বলেন, ‘তোমরা সাধ্যমতো অনশন করেছো। ভালো করেছো। আমি ২৬ দিন অনশন করেছি। আমি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি। রোজ খবর নিয়েছি। ঘণ্টায় ঘণ্টায় রিপোর্ট নিয়েছি। তোমরা রাস্তায় শুয়ে থাকলে, আমি বাড়িতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারিনা।’
মমতা আরও বলেন, ‘তোমরা সাধ্যমতো অনশন করেছো। ভালো করেছো। আমি ২৬ দিন অনশন করেছি। আমি মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছি। রোজ খবর নিয়েছি। ঘণ্টায় ঘণ্টায় রিপোর্ট নিয়েছি। তোমরা রাস্তায় শুয়ে থাকলে, আমি বাড়িতে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারিনা।’
সোমবারের বৈঠকে বারবার ‘থ্রেট কালচার’ বন্ধের ব্যাপারে আর্জি জানান আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্সের পাশাপাশি কলেজ লেভেল টাস্ক ফোর্স, অ্যান্টি র্যাগিং কমিটি, গ্রিভান্স সেল (একাধিক কলেজে থাকলেও কার্যকরী নয় বলে দাবি ডাক্তারদের) গঠন করার ব্যাপারে আর্জি জানানো হয়।