মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লেখেন, কয়েক মাস আগেই এনপিপিএ গুরুত্বপূর্ণ একাধিক ওষুধ/ফর্মুলেশনের দাম বাড়িয়েছে। তালিকায় ছিল ডায়াবেটিস, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ, অ্যান্টিবায়োটিক। গত ১৪ অক্টোবর মিনিস্ট্রি অব কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্টিলাইজার্স আওতাধীন এনপিপিএ টিবি, থ্যালাসেমিয়া, হাঁপানি, গ্লুকোমার ওষুধেরও দাম বাড়িয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে জানান, এই ভাবে আচমকা ওষুধের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়বে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান তিনি। যদিও এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এনপিপিএর তরফে জানানো হয়েছে, ওষুধ তৈরির খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সে কারণে ওষুধ তৈরিতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই দাম বাড়ানো হয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন যেমন নিউমোনিয়া, ডিপথেরিয়ায় বহুল ব্যবহৃত বেনজাইলপেনিসিলিন, অ্যাট্রোপিন, টিবির চিকিৎসায় ব্যবহৃত স্ট্রেপটোমাইসিন, সলবুটামল, পাইলোকারপিন, সেফাড্রক্সিল ট্যাবলেট, ডেসফেরোক্সামিন, লিথিয়াম ট্যাবলেটের দাম বাড়ানো হয়েছে সম্প্রতি।
এ নিয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ প্রথম থেকেই সরব। কারণ, হার্টের অসুখ, চোখের সমস্যা ঘরে ঘরে। হাঁপানির সমস্যাতেও কম মানুষ ভোগেন না। এই সব রোগের ওষুধের দাম বাড়ানো মানে সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়ানো।