এই সময়: আর কয়েক দিন পরেই বিয়ে। প্রস্তুতি নিচ্ছিল দুই পরিবার। তাই চলছিল বাড়ি পরিষ্কার করার কাজ। কাটা হচ্ছিল নারকেল গাছও। সেই কাটা গাছের উপরের অংশ পড়ে মৃত্যু হলো তরুণীর, যাঁর বিয়ে ঘিরে এত তোড়জোড়। সোমবার সকালে বসিরহাট শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণপতিপুরে মর্মান্তিক মৃত্যু হলো মধুমিতা রায়ের (৩৫)।মধুমিতাদের বাড়ির কয়েকটি বাড়ি পরেই ছিল তাঁর হবু শ্বশুরবাড়ি। তাই প্রতিবেশী হিসেবে নিয়মিত যাতায়াত ছিল দুই বাড়ির মধ্যে। সোমবার সকালে সেই বাড়িতেই গিয়েছিলেন মধুমিতা। নিজের হাতে সেখানে লাগিয়েছিলেন ফুল গাছের চারা। নিজেই নিয়মিত পরিচর্যা করতেন গাছগুলির। সে কাজ করতেই সোমবার সকালে গিয়েছিলেন। তখনই কাটা হচ্ছিল পুরোনো নারকেল গাছ। সেই সময়ে বাড়ির দোতলায় অন্যদের সঙ্গে গল্প করছিলেন তরুণী।
নারকেল গাছ কাটতে গিয়ে তাঁর সাধের ফুল গাছের চারাগুলির ক্ষতি হলো কি না, তা দেখতে নীচে নামেন। আর তখনই নারকেল গাছের উপরের দিকের অর্ধেক কাটা অংশ এসে পড়ে তাঁর পিঠে। তিনি ছিটকে গিয়ে ধাক্কা খান পাঁচিলে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নারকেল গাছ কাটতে গিয়ে তাঁর সাধের ফুল গাছের চারাগুলির ক্ষতি হলো কি না, তা দেখতে নীচে নামেন। আর তখনই নারকেল গাছের উপরের দিকের অর্ধেক কাটা অংশ এসে পড়ে তাঁর পিঠে। তিনি ছিটকে গিয়ে ধাক্কা খান পাঁচিলে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বছরখানেক আগে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে মারা যান মধুমিতার বাবা। সে কারণে গত বছর বিয়ে হওয়ার কথা থাকলেও তা আটকে যায়। গত সপ্তাহে বাবার মৃত্যুর এক বছর কেটেছে। এ বার খুব শিগগিরই বিয়ের দিন চূড়ান্ত করার কথা ছিল। তারই মধ্যে হবু শ্বশুরবাড়িতে তরুণীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে স্তব্ধ গোটা পাড়া। এ দিন দুপুরে বারাসত হাসপাতালে মৃতদেহের ময়না-তদন্তের পরে মধুমিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।